হাওর ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৪১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সিলেট বিভাগের দুইটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মৌলভীবাজারের জোহরা আলাউদ্দিন ও সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম (শামীমা শাহরিয়ার)।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
জোহরা আলাউদ্দিন মৌলভীবাজার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা জোহরা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। শামীমা শাহরিয়ার কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। শামীমা শাহরিয়া জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। একজন নারী হয়েও তিনি দুর্গম হাওরে প্রতিনিয়ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। একজন কর্মীবান্ধব নেত্রী হিসেবেও তিনি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। এবারের অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনে তিনি জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা দেখেইে আ.লীগ সংরক্ষিত আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে অন্য মনোনীতদেরও মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ৪৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও দলটি দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি। এই দুটি আসনে শরিক দল থেকে প্রার্থী দেওয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন—
কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, গাজীপুরে রুমানা আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী), পিরোজপুর থেকে শেখ অ্যানি রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার, মুন্সিগঞ্জে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নরসিংদীতে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঢাকা থেকে নাহিদ ইজহার খান, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশালে সৈয়দা রুবিনা মিরা, চট্টগ্রাম থেকে ওয়াসিকা আয়েশা খান, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার, ঢাকায় সুবর্ণা মুস্তাফা, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, ফরিদপুরে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশিদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে সাবিনা আনজুম মিতা, কুমিল্লা থেকে আরমা দত্ত, খুলনা থেকে শিরিনা নাহার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খাদেজা নুসরাত, ঢাকায় শবনম জাহান শিলা, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার, নেত্রকোণা থেকে জাকিয়া পারভীন খানম, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ ও জিন্নাতুল বাকিয়া।