অনলাইন ডেক্স::
রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গণঅভ্যর্থনা’ জানিয়েে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। এই কর্মসূচিতে ছুটির দিনেও যানজটে নাকাল হতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সড়কে অবস্থানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় কয়েকটি সড়ক পুলিশ আটকে দেওয়ায় শুক্রবার এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে ঢাকার ওই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগও দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব নির্ধারিত সংবর্ধনাসভা আগেই ঠিক করা ছিল। তবে ছুটির দিনে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বিসিএস পরীক্ষার কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে চলাচলরত মানুষ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের এই কর্মসূচির কারণে যানজটের আশঙ্কা আগে থেকেই করা হচ্ছিল।
ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকার আশ্বাস এবং নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের আহ্বান থাকলেও সড়কে পথচারী ও যাত্রীদের আগের মতোই বিরূপ অভিজ্ঞতার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
জাতিসংঘ সফর শেষে আসা প্রধানমন্ত্রীকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ‘গণঅভ্যর্থনা’ দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার আগে দুপুরের পর থেকে যানজট দেখা দিতে থাকে। ফার্মগেইট থেকে টঙ্গী পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চলাচল হয়ে পড়ে ধীর। বিকাল ৩টার পর থেকেই বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বেলুন হাতে নিয়ে তারা সড়কের উপরেই উঠে আসেন।
বিকাল সোয়া ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সহস্রাধিক নেতা-কর্মী সড়কের মধ্যে এলোপাতাড়ি অবস্থান নেয়। সেখানে শাহআলী থানা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দফায় দফায় সড়কজুড়ে মিছিল করতে থাকে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এই সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে রাস্তার পাশে না দাঁড়িয়ে সড়কের মধ্যে অবস্থান নেন। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল তখনই প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা সেনানিবাসের জাহাঙ্গীর গেইট থেকে বিজয় সরণির দিকে কোনো গাড়ি আসতে পারছিল না। একই সময়ে বিজয় সরণি থেকে মিরপুর যাওয়ার পথেও যানজট লেগে যায়। মিরপুর থেকে মহাখালী আসার পথেও যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। বিকাল ৪টার দিকে বনানীর কাকলী, খিলক্ষেত, জোয়ার সাহারা থেকে বিমানবন্দরের আশপাশে নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা যায়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া হজ থেকে ফেরার পর তার দল বিএনপির একই ধরনের কর্মসূচি থাকায় ব্যাপক যানজটে পড়তে হয় পথচারীদের। তার একদিন আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর জন্য তার সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কর্মসূচিতেও যানজটে নাকাল হতে হয়েছিল রাজধানীবাসীকে।