জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার কারাভোগকারী আসামীকে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ গ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রোববার এব্যাপারে বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসী জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলমের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও অভিযোগপত্রের অনুলিপি জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরারব প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগের সঙ্গে মামলার চার্জশিট সংযুক্ত রয়েছে।
এলাকাবাসি ও অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের গড়গড়ি কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন নৈশ গ্রহরী নিয়োগের আহবান করা হয় গত বছর। এতে গড়িগড়ি এলাকার ইউছুফ আলীর ছেলে রুহেল মিয়া ও একই এলাকার আব্দুল হেকিমের ছেলে সাইদুল ইসলাম অংশ নেন। এরমধ্যে সাইদুল ইসলাম এলাকার দরিদ্র ফজর আলীর তরুণী সমতেরা বেগমের হত্যা মামলার আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদের আপন ভাতিজা। যে কারনে প্রভাব বিস্তার করে চাকুরীদানে পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, ২০০৮ সালে দরিদ্র হজর আলীর মেয়ে সমতেরা বেগমকে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দৃৃবৃর্ত্তরা। পরে তাকে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে লাশ তার বাড়ির সামনে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা ফজর আলী বাদি হয়ে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ৪ নম্বর আসামী সাইদুল ইসলাম। মামলার পর কয়েকমাস কারাভোগ করেছে সাইদুল।
অভিযুক্ত ব্যক্তির চাচা গড়গড়ি কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, তার ভাতিজার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা গত বছর আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়েছে। তবে নৈশ প্রহরী পদে এখনো নিয়োগ হয়নি বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, গড়গড়ি কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইদুল ইসলামকে গত সপ্তাহে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আণিত অভিযোগ তদন্তের প্রমাণিত হলে ওই পদ থেকে তাকে প্রত্যাখান করা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে