হাওর ডেস্ক::
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট ২ হাজার ৬৫৪টি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ১ হাজার ২৪৮টি, সাপ্তাহিক ১ হাজার ১৯২টি এবং পাক্ষিক পত্রিকার সংখ্যা ২১৪টি।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। এর প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৩ হাজার।
বিজ্ঞাপন
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবম ওয়েজবোর্ড গঠন ও সংবাদপত্রের গণমাধ্যম কর্মীদের শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নেওয়ায় সারাদেশে সাংবাদিকদের প্রভূত কল্যাণ হবে।
তিনি জানান, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহের অধিকার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইতোমধ্যে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের চেতনায় দেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশের গণমাধ্যমের সব শাখা ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক সাংবাদিককে আর্থিক ও চিকিৎসা সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরি সুরক্ষার জন্য ’গণমাধ্যমকর্মী (চাকুরি ও শর্তাবলী) আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। গত বছরের ১৫ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে এর নীতিগত অনুমোদন হয়। এখন ভোটিংয়ের জন্য রাখা হয়েছে। অসচ্ছল, অসুস্থ ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিকদের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯৬ জনকে মোট ১০ কোটি ৭ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। গত বছরের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ডে সিড মানি হিসেবে ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।