সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় অহংকারের জায়গা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরণের বিভাজন কাম্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যত বেশি চর্চা হবে নতুন প্রজন্ম তত বেশি দেশপ্রেমে উজ্জিবিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ অ্যালবাম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা। এটি ইতিহাসের এক প্রামান্য দলিল। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই এই ঐতিহাসিক কাজটিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। ভালো কাজের পৃষ্ঠপোষকতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট নগরের একটি অভিজাত হোটেলে আমিরুল হক বাবলু’র ‘মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিসৌধ’ অ্যালবামের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিজাম উদ্দিন লস্কর ময়নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও গবেষক শুভেন্দু ইমাম, লেখক ও গবেষক ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মোরশেদ, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা।
চৈতন্য প্রকাশন আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশক রাজীব চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাহমিদা উর্মী।
সভায় আলোচকগণ বলেন, গভীর দেশে প্রেমে উজ্জিবিত হয়ে লেখক যে বইটি সম্পাদন করেছেন তা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক হিসেবে বেঁচে থাকবে। তথ্য-উপাত্ত নির্ভর সচিত্র এই গ্রন্থটি নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস অনুসন্ধিৎসু করবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জিবিত করবে।
লেখক আমিরুল হক বাবলু বলেন, হৃদয়ের আকুতি থেকে এই কাজটি করা। এখানে সিলেট বিভাগের স্মৃতিসৌধ সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করা হয়েছে। অজান্তে অনেক স্মৃতিসৌধের কাহিনি বাদ পড়া থেকে শুরু করে তথ্যগত ভুল থাকাও স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে সুধীজনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সংশোধন ও সংযোজন করা হবে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সুধীজনদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুশ শহীদ, উন্নয়ন কর্মী নজমুল হক, শিক্ষাবিদ গোলাম হোসেন আজাদ, লেখক প্রশান্ত মৃধা, কবি ও গবেষক মোস্তাক আহমাদ দীন, লেখক ও অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা, আইনজীবি শফিকুল আলম, শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল আলিম, সাখাওয়াত হোসেন আজাদ, প্রনব কান্তি দেব, রাজনীতিবিদ রুহুল কুদ্দুস বাবুল, আজমল বখ্ত সাদেক, সাংবাদিক ও লেখক নওশাদ জামিল, পরিবেশ কর্মী আব্দুল করিম কিম, কাশ্মীর রেজা প্রমুখ।