স্টাফ রিপোর্টার::
রবিবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের ৯টি উপজেলার মধ্যে তাহিরপুর, শাল্লা ও ধর্মপাশা উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলাকালে ৮টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়। এছাড়া ৯ উপজেলার ৫৪১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩৩টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার পুরান ঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আনিসুল হকের সমর্থকরা সকালে একটি কক্ষ তালা দিয়ে মোটর সাইকলে প্রতীকে ভোট দিতে চাইলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলের সমর্থকরা বাঁধা দেন। এতে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হন। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই উপজেলার দীঘলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুপুর ১টার দিকে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। ছিনতাই হয় একটি ভোটবাক্স। এ সময় পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পরে এই কেন্দ্রে সাময়িক ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এদিকে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অবনী মোহন দাসের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এসময় একটি কক্ষের ভোটবাক্স ভাংচুর করা হয়। একই উপজেলার ইয়ারাবাদ কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী অবনী মোহন দাসকে অবরুদ্ধ করে রাখে নৌকার সমর্থকরা। পরে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত রয়েছে। এছাড়াও এই উপজেলার চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র, শ্রীহাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ধর্মপাশা উপজেলার দুঘনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।