বিশেষ প্রতিনিধি::
নির্বাচনের দুইদিন আগে গত ৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন স্থগিত করে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রচারণা চালিয়ে প্রার্থীরা যখন বিজয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন তখনই ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়’ উল্লেখ করে সুনামগঞ্জের দশ উপজেলার মধ্যে ওই উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এতে হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ১০ জানুয়ারি ৯টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন স্থগিতের খবরে প্রার্থী ও ভোটাররা হতাশা ব্যক্ত করে শুরু থেকেই দাবি জানাচ্ছেন ভোটগ্রহণের। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধী ১৩জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী গত ১১ মার্চ নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন করেছেন। গত ১৪ মার্চ জামালগঞ্জে প্রার্থী ও ভোটাররা অবিলম্বে ভোটগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করে ইসি বরাবর আবেদন করেছেন। আবেদন ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রার্থীরা উল্লেখ করেন, হঠাৎ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় প্রার্থীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। নির্বাচনে তারা প্রচার-প্রচারণার বিধিমতে ব্যয় করেছেন। পোস্টার ব্যানার ফেস্টুনসহ প্রচারণার বিভিন্নভাবে ব্যয় করার পাশাপাশি অনেক সময়ও ব্যয় করেছেন তারা। নির্বাচন স্থগিতের কারণে তারা শারিরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ভোটগ্রহণের দাবি জানান তারা।
জানা গেছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঠে নামায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা বিধিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছিলেন। তবে তারা নির্বাচন স্থগিত হোক এটা চাননি। তারাও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ১৩ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) পদে ৭জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আকবর হোসেন বলেন, আমরা প্রচারণা শেষ করে চূড়ান্ত রায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। শারিরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির মুখে আমাদের রেখে কমিশন হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত করে। দ্রুতি নির্বাচনের দাবিতে আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি। এলাকার ভোটার ও প্রার্থীদের সবাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হোক এটা চান।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম বলেন, আমার বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র ছিল। তবে ইসির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিতের ঘোষণায় আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ জনতার রায়ে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতাম। আমি দ্রুত নির্বাচন চাই।
জেলা নির্বাচন অফিসার মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন কমিশন যুক্তিসঙ্গত কারণে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছিল। কবে ফের ভোটগ্রহণ হবে এটা কমিশনই ভালো বলতে পারবে। তবে এখন প্রার্থী ও ভোটাররা নানাভেই ভোটগ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন বলে জানান তিনি।