হাওর ডেস্ক::
২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতি। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সরকার যে দুটি কমিটি গঠন করেছে তার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় আজ বুধবার। জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রথম সভা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েই।
কীভাবে পালন হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী? কি কি কর্মসূচি থাকবে তার বিস্তারিত আলোচনাই হয়েছে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রথম যৌথ সভায়। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ- এই এক বছর দেশব্যাপী থাকবে নানা আয়োজন।
বছরব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হতে পারে দেশের দুই জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ও ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। কমিটির সভা শেষে জাগো নিউজকে সেই পরিকল্পনার কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। যিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিরও সদস্য।
‘আমরা আকর্ষণীয় কিছু করবো ক্রীড়াঙ্গনে। ফেডারেশনগুলো স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে; কিন্তু আন্তর্জাতিক আয়োজনও থাকবে। এর মধ্যে প্রাধান্য পাবে ২০২০ সালে বড় দুই খেলা ফুটবল ও ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আয়োজন। আইসিসির শিডিউলের কারণে বিভিন্ন দেশের ব্যস্ততা থাকলে ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করা কঠিন হতে পারে। তাই আমরা ক্রিকেট বোর্ডকে এশিয়া বনাম বিশ্ব একাদশের মধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেবো’- বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
ফুটবলের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটা সরকার করতে চাচ্ছে বড় আকারেই। ‘আমরা সব মহাদেশের একটি করে দেশের অংশগ্রহণেই একটি বড় মাপের আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা আলোচনা করেছি। সরকার থেকে সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে’-বলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এ দুটি বড় খেলার টুর্নামেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি রোলার স্কেটিং করবে বিশাল টুর্নামেন্ট। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ রোলবল চ্যাম্পিয়নশিপ হতে পারে ৫০টি দেশ নিয়ে। ২০২০ সালের ১১ থেকে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এই রোলবল টুর্নামেন্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে সব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এ সভা মূলত ৬ এপ্রিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালন উপলক্ষে হলেও সেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কি কি করা যেতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটিতে আছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও। কমিটির প্রথম সভা শেষে কিংবদন্তি এ ফুটবলার বলেন, ‘প্রথম সভায় বছরটি কীভাবে পালন হবে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে কি কি আয়োজন থাকবে তার সব সিদ্ধান্ত হয়নি। আরো অনেক সভা হবে।’
একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সেটা অবশ্যই করা সম্ভব। হাতে অনেক সময় আছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে পারলে তা অবশ্যই ভালো হবে। আমরাও চাইবো ভালো ভালো দেশ নিয়ে মানসম্মত টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে।’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যৌথ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য, জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এবং সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাও।
(জাগোনিউজ)