স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জলমহাল ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম সভায় সুনামগঞ্জের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার মৎস্যজীবী ও জলমহাল ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ চার প্রস্তাব দিয়েছেন। হাওরের জেলে ও খামারিদের সহযোগিতা, ছোট ছোট জলাশয় খাল বিল খননসহ নানা বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। হাওরবান্ধব এই প্রস্তাবগুলো স্থানীয় সচেতন মানুষজনও সমর্থন জানিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীসহ স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র নাথ সম্ভু এমপি। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আশরাফ আলী খানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শামীমা শাহরিয়ার তার প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রেখে যেভাবে কিছু এলাকার জেলেদের সাবসিডি দেয়া হয়, একইভাবে মিঠাপানির প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রেখে, হাওর এলাকার জেলেদেরকেও সাবসিডি দিতে হবে। কৃষককে ভিজিডি ভিজিএফ এর আওতায় আনতে হবে। হাওর এলাকার হাঁস পালনকারী মা-বোনেরা বা খামারিরা বর্ষায় জায়গার অভাবে খামার বিক্রি করে বেকার হয়ে যান। এ জন্য শেড বা সরকারি ভাবে খামার নির্মাণ করে দিলে সারা বছরই তারা হাঁস পালনের সুযোগ পাবেন।
তাই কারো বেকার থাকার সুযোগ নেই। ছোট বড় সব জলমহাল লীজ হয়ে যাওয়ায় হাওর এলাকার জেলেরা হেমন্তে মাছ ধরার জন্য উপযুক্ত জলা পায়না। এ জন্যে হাওরের ছোট ছোট খাল, বিল বা ডোবাগুলি খনন করে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। মিঠাপানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি রোধে বিল বা জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করার জন্যে আইনের প্রয়োগে সবাইকে আরো কঠোর হওয়া উচিত।
শামীমা শাহরিয়ারের হাওরের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন, জেলেদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নে গুরুত্ব চারটি প্রস্তাব নিয়ে সভার সদস্যরা কথা বলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রস্তাবগুলো দীর্ঘদিন পরে স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকেই কোন সংসদ সদস্য উপস্থাপন করায় তাকে অভিনন্দন জানান।
প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামীমা শাহরিয়ার বলেন, আমি হাওরের মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আমার জায়গায় সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় আমি খুশি। আমি প্রথম বৈঠকে যে কথা গুলো বলেছি তাতে অনেক ওয়াটারলর্ডরা বিরাগভাজন হতে পারেন। আমি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে হাওরের উপেক্ষিত জেলে ও খামারিদের উন্নয়ন ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের কথা বলেছি। আমি তাদের কথা বলতে পেরে তৃপ্ত।