হাওর ডেস্ক::
মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্নসমর্পন করলেও জামায়াত সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পন করেনি। এদের দোষররা এখনও সক্রিয়। তাই তাদের ছেলে-মেয়েদের সরকারি চাকরি না দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আজ রবিবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবে ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’-শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রিতির বাংলাদেশে নামক একটি সংগঠন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এর আহ্বায়ক শ্রী পিযুশ বন্দোপাধ্যায়।
মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বছর ও বাংলাদেশের ৩০ বছর মোট ৫৩ বছর ধর্মের নামে জামায়াত ও তার দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাই তাদের সন্তানদের সরকারি চাকুরি না দেওয়া উচিত। এছাড়া যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন তোলে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী সৈনিকরা আত্মসমর্পণ করলেও জামাত, আল বদর, আল সামস এরা আত্মসমর্পণ করেনি। তাদের ছেলে-মেয়েদের সরকারি চাকরিতে নেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে রাত ৯.১ মিনিটে শহীদদের স্মরণে করতে দেশের সকল কার্যক্রম ১ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় এখন থেকে মুক্তি যুদ্ধের উপর ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।