1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

হাওরে বজ্রপাত আতঙ্ক: এক সপ্তাহে চারজনের মৃত্যু

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ২.৫৬ পিএম
  • ৪২৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধ::
হাওর-বাওড়ের জেলা সুনামগঞ্জে শুরু হয়েছে বজ্রপাত আতঙ্কের দিন। যখন তখন বজ্রাঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। গত এক সপ্তাহে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো চারজন। বৈশাখি মওসুমে ধান কাটা শুরু হওয়ার প্রারম্ভে বজ্রপাত আতঙ্ক কৃষকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। কৃষকরা হাওরে সরকারি খরচে বজ্রনিরোধক দ- স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
কয়েক বছর আগে আমেরকিান গবেষণা সংস্থা নাসা সারা বিশ্বের বজ্রপাতবহুল এলাকা হিসেবে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জকে উল্লেখ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় এই অঞ্চলে। তাই স্বাভাবিকভাবে হতাহতের সংখ্যাও বেশি। এবার মওসুমের শুরুতেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে হাওরে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে গত ৩১ মার্চ জামালগঞ্জ উপজেলার কালিকোটা হাওরে বজ্রপাতে মারা যান দেলোয়ার হোসেন নামের এক কিশোর। তিনি গরুর ঘাস কাটতে হাওরের জাঙ্গালে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলেই বজ্রঘাতে মারা যান তিনি।
গত ৮ এপ্রিল সোমবার বজ্রপাতে সুনামগঞ্জ সদর ও ধর্মপাশায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের কলাইয়া গ্রামের আব্দুল আউয়াল নামের এক বৃদ্ধ সব্জি ক্ষেতে কাজ করার সময় মারা যান। ওইদিন একই সময়ে ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন ফজল হক নামের এক যুবক। এসময় শহিদ মিয়া ও আব্দুস সালাম নামের দুইজন আহত হন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে গতকাল ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার চেলা নদীতে বালু আহরণের সময়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন আলী হোসেন নামের এক শ্রমিক। এসময় আরো দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এভাবে মওসুমের শুরু থেকেই বজ্রপাতে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটছে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতে প্রাণহানীর ঘটনায় উদ্বিগ্ন হাওরের সাধারণ মানুষ। তারা বিভিন্ন সময়ে হাওরে বজ্রনিরোধক দ- স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
জানা গেছে সরকার বজ্রপাত নিরোধে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয় দুই বছর আগে। এই উদ্যোগের সমালোচনা শুরু থেকেই করে আসছেন হাওরের কৃষকরা। কৃষকদের মতে তালগাছ লাগানো দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা। তাছাড়া দুর্গম হাওরের নিচু জমিতে তাল গাছ লাগালেও বাচার সম্ভাবনা নেই। তাই এই উদ্যোগ থেকে সরে আসতে স্বল্প খরচে বহনযোগ্য বজ্রনিরোধক ত- স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
হাওর বাচাও সুনামগঞ্জ বাচাও আন্দোলনের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, প্রাকৃতিক বৈরিতায় জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমাদের এলাকা বিশ্বের বজ্রপাত ঝূকিপূর্ণ এলাকা। এখানে যখন তালগাছ রোপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল আমরা তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ হাওরে তালগাছ লাগালেও বাচার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া। মানুষকে বাচাতে জরুরি কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
জামালগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফুর রহমান বলেন, হাওরের ক্ষেতে বহনযোগ্য বজ্রনিরোধক দ- স্থাপন করা উচিত। এটা সহজেই করা সম্ভব। তিনি তালগাছের বদলে বজ্রনিরোধক দ- স্থাপনের দাবি জানান।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বজ্রপাত এই অঞ্জলের জন্য একটি বড় প্রাকৃতিক আতঙ্ক। ইতোমধ্যে কয়েকজন মারা গেছে। আহতও হয়েছেন। আমরা আহত ও নিহতদের পরিবারকে সাধ্য মতো সহায়তার চেষ্টা করি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!