হাওর ডেস্ক::
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, দেশের হাওরাঞ্চলে আধুনিক নাগরিক সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। হাওরাঞ্চলে স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো প্রসারিত করতে সরকার বিভিন্ন প্রজেক্ট চলমান রেখেছে। এরই ধারাবাহীকতায় সিলেটের গোয়াইনঘাট-সালুটিকর গাংকিনারি সড়কটি গোয়াইন নদীর তীর ঘেষে মাঠির কাজ চলছে।
রবিবার দুপুরে এই প্রতিবেদকের সাথে একান্তআলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গাংকিনারী সড়কের কাজ শেষ হলে নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের দারির পার, কচুয়ার পার, দারিকান্দি, চৌধুরী কান্দি, বাইমার পার, চলিতা বাড়ি, শিয়ালা হাওর, লক্ষী হাওর, বেতকুনা গ্রাম, তোয়াকুল ইউনিয়নের লক্ষীনগর, পূর্ব পেকের খাল, ঘোড়া মারা, জামলা কান্দি, চদিবদি হাওর এবং লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া হাওরসহ বৃহত্তর লেঙ্গুড়া গ্রামবাসী সড়কপথে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ও সিলেট জেলা শহরের সাথে যাতায়াত করতে পারবে। যার ফলে হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ি থেকে উপজেলা সদর ও জেলা শহরের যে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতে পারবেন। মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান আরোও সহজ হবে। বর্তমানে হাওরাঞ্চলের মানুষেরা বিভিন্ন সরকারি /বেসরকারি সেবা প্রতিষ্টানের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন শুধুমাত্র অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে।
প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা সময় মত ওইসব প্রতিষ্ঠানে যাননি। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে কতৃপক্ষ এসব প্রতিষ্ঠান যথাযত ভাবে তদারকি করতে অক্ষম রয়েছেন। সুতরাং গুরুত্ববহ ওইসব সমস্যার কথা বিবেচিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গাংকিনারী সড়কের কাজ শেষ করতেচাই। এরই লক্ষ্যে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট গাংকিনারী সড়কটির দ্রুত কাজ চলছে। সড়কটির নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের অংশ প্রায় শেষের পথে। তোয়াকুল অংশে এবং লেঙ্গুরা ইউনিয়নের কিছু অংশে কাজের ধীরগতি বিরাজ করছে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে লেঙ্গুরা ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকা হয়েছে। গোয়াইনঘাটের হাওরাঞ্চলে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা হাওরে প্রায় শতভাগের সন্নিকটে। এছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য রয়েছে বেশকিছু কমিউনিটি ক্লিনিক। গাংকিনারী সড়কটির মাঠির কাজ শেষ হওয়ার পর পাঁকা করে দিলেই হাওরবাসী আধুনিক নাগরিক সুবিধায় চলে আসবেন।