স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আউট সোর্সিং পদ্দতিতে অস্থায়ী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিমএ) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। দীর্ঘদিন ধরে নামমাত্র বেতনে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে কর্মরত ৪৭ জনকে নিয়োগ না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এবার ২৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে কর্মরত নিয়োগ বঞ্চিতদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএমএ নেতৃবৃন্দ শনিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। তারা অবিলম্বে মানবিক কারণে পূর্বের কর্মরত অভিজ্ঞ ৪৭জনকে নিয়োগ দানেরও অনুরোধ জানান।
বিমএ সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি আউট সোর্সিং পদ্দতিতে জেলার হাসপাতাল গুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাসকে সভাপতি ও সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৬ সদস্যের নিয়োগ কমিটি গঠিত হয়। দরপত্র আহ্বান করা হলে ওনেস্ট সিকিউরিটি লি.মি নামের একটি কম্পানিকে মনোনীত করে। এসময় গত কয়েক বছরে নামমাত্র বেতনে কর্মরত ৪৭জনকে নিয়োগের আহ্বান জানান বিএমএ নেতৃবৃন্দ। কিন্তু কম্পানি ও সংশ্লিষ্টরা ওই ৪৭ জনকে নিয়োগ না দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ২৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়। ২৪৭ জনের কাছ থেকেই ঘুষ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বিএএম নেতৃবৃন্দ। নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি সুনামগঞ্জ বিএমএকে অবগত করেন নিয়োগ বঞ্চিত ৪৭ জন কর্মচারি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ বিএমএর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈকত দাসের নেতৃত্বে বিমএ নেতৃবৃন্দ সদর হাসপাতালে যান। তারা এ বিষয়ে আবাসিক চিকিৎসক ও নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব ডা. রফিকুল ইসলামকে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এসময় বিমএ নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পুরনো অভিজ্ঞ ৪৭জন কর্মীকে নিয়োগ দানের অনুরোধ জানান। এসময় বিএমএ’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল হাকিম সুনামগঞ্জ সদর আসনের এমপি এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকেও ফোন করে বিষয়টি অবগত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর হাসাপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিত গোলদার, ডা. বিষ্ণুপ্রসাদ চন্দ, ডা. জহর লাল রায়, ডা. ফরিদুল ইসলাম, ডা. মিন্টু কুমার ধর, ডা. সুমনকান্তি চৌধুরী প্রমুখ।
বিএমএ সভাপতি ও প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, আউট সোর্সিং পদ্দতিতে লোক নিয়োগে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। অভিজ্ঞ পুরনোদের নিয়োগ না দিয়ে আর্থিক লেন দেনের মাধ্যমে অনভিজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি হাসপাতালে গিয়ে। দাবি জানিয়ে এসেছি অবিলম্বে পুরনো ৪৭ জনকে নিয়োাগ দিতে।