স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবনের সাততলার জনমানবহীন কেবিনে অসুস্থ দুই মুক্তিযোদ্ধাকে ভর্তি দিয়ে সিট বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টায় তাদের কেবিনে এনে রাখার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ডাক্তার, নার্সসহ হাসপাতালের কেউ তাদের এসে দেখেনি। তাছাড়া বিদ্যুতের কারণে লিফটে সমস্যা থাকায় অসুস্থ ও বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের চরম কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেবিনে এনে রাখার ৮ ঘন্টা পরও তাদের খোজ নেয়নি। তাই অভিমানে নিচের দুই সিড়ি ভেঙ্গে পুরুষ ওয়ার্ডের সাধারণ বেডে এসেছেন।
জানা গেছে অসুস্থ শরির নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মালেক পীর ও সুজাত মিয়া কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন। শনিবার সকালে সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাসের নির্দেশে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম এই দুই মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন ভবনের সাততলার কেবিনে এনে রাখেন। বিশাল এই ফ্লোরের সব কক্ষই খালি। জনমানবহীন। এমন একটি বিশাল ফ্লোরে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে এনে রাখায় এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া লিফট থাকলে বিদ্যুৎ ও অপারেটরের কারণে সাততলা থেকে নিচে নামতে গিয়ে তাদের জীবনই ঝূকির মুখে আছে। এদিকে কেবিনে রাখার দীর্ঘ আট ঘন্টা পরও একবারের জন্যও তাদেরকে এসে কেবিনে না দেখায় তারা অনেকটা নিঃসঙ্গ ও সেবাবঞ্চিত বোধ করছেন। যে কারণে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তারা নিচের ৫ তলায় পুরুষ ওয়ার্ডের সাধারণ বেডে চলে এসেছেন।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সাততলায়ই সকল কেবিন। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের এনে রাখা হয়েছে। আপাতত তারা দুজন ছাড়া আর কোন রোগি কেবিনে নেই। তবে তারা দুজনই আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন। আমরা তাদের নিয়মিত সেবাদানের চেষ্টা করছি।