সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, তাহিরপুর::
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ওউজান থেকে নেমে আসা অকস্মিক পাহাড়ী ঢলে তাহিরপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চলপ্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ছোট বড় ২৫টি হাওরে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলার যাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই ও পাটলাই নদীর পানি বৃদ্ধি হচ্ছে দ্রুত গতিতে। সবগুলোর পানি বিপদসীমার ওপরে। গত পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর রবিবার দুপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে উপজেলা সদরে। এছাড়াও পুরো উপজেলা জুড়ে গত দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে গ্রামীন ফোনের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ফলে উপজেলার দুই লক্ষাধিক গ্রাহক চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার লোবা, বলদা, সিংড়ারদাইড়, এরাইল্যাকোনা, বেরবেড়িয়া হাওরে ঘুরে দেখা গেছে, এখনো কোথাও কোথাও কিছু পাকা ধান রয়ে গেছে কাটার বাকি। তবে বেশীর ভাগ ধানই কাটা হয়ে গেছে। উপজেলার দরুণ হাওরের কৃষক বাচ্ছু মিয়া বলেন, গত কয়েকদিনের পানা বর্ষণ ওউজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে হঠাৎ করে হাওরে পানি প্রবেশ করে জমিন তলিয়ে গেছে। সামান্য কিছু রয়ে গেছে এতে কোন সমস্যা হবেনা। উপজেলার বাদাঘাটের বাসিন্দা ইকরাম হোসেন, উপজেলা সদরের আবুল বাশার, বড়দলের কলিখান জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছেনা। এরফলে উপজেলার দুই লক্ষাধিক গ্রাহক চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেই গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক চলে যায়। এভাবেই গত ৬ মাস ধরে চলছে গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে তাহিরপুর উপজেলার বৃহৎ টাঙ্গুয়, শনি ওমাটিইয়ান হাওরের সব ধান কাটা হয়ে গেছে শুধুমাত্র শনির হাওরের কিছু ধান কাটার বাকি রয়েগেছে। যা গতকাল রোববার বিকেলের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানিয়েছেন, উপজেলায় এবছর ১৫ হাজার, তিনশত হেক্টর বোর আবাদ করা হয়েছিল শুধুমাত্র শনির হাওরের আনোয়ারপুর অংশে কিছু জমির ধান কাটা বাকি রয়েছে। তবে আনোয়ারপুরে ধান কাটার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। আশা করি রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই সব ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।