স্টাফ রিপোর্টার, তাহিরপুর::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে উদ্যার হওয়া মেছো বাঘের অবশেষে ঠাঁই (আশ্রয়) হল ইকো পার্কের লোহার খাঁচায়।
শনিবার সিলেটের টিলাগড় ইকো পার্কে হস্তান্তর করলে দায়িত্বশীলরা লোহার খাঁচায় বন্ধি করেন বাঘাটিকে।,
জানা গেছে, উপজেলার পাঠাবুকা গ্রামের আবদুল হান্নান, তার ছেলে আরাফাত একই গ্রামের মজু মিয়া ও তার ছেলে আলিফনুর সহ চার জেলে টাঙ্গুয়ার হাওরের সংরক্ষিত এলাকা দিয়ে শুক্রবার বিকেলে মাছ ধরতে যান।
ওই দিন বিকেলে হাওরের চারপাশে পানি বন্ধি জলাবনের একটি গাছ থেকে হঠাৎ করেই জনমানুষ আতংকে উক্তাল পানিতে লাফিয়ে পড়া মেছো বাঘটি। হাওরের পানিতে ডুবে যেতে দেখে দ্রুত জাল ফেলে জেলেরা উদ্যার করে বাড়ি নিয়ে এসে স্থানীয় ধলইরগাঁও বিট অফিসের লোকজনের নিকট হস্তান্তর করেন বাঘটিকে।
জলাভুমিতে কয়েকদিন ঝড় বৃষ্টিতে আটকে থাকায় অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়া মেছো বাঘটিকে উপজেলা সদরে থাকা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে নিয়ে গিয়ে রাতে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।,
ধারণা করা হচ্ছে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘুর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে টানা কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও ঢলের পানিতে পাহাড়ি বনের উপর থাকা ¯্রােতের তোড়ে এপারে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভেসে আসে মেছোবাঘটি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ধলইরগাঁও বিট অফিসার বীরেন্দ্র কিশোর রায় জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় শনিবার দুপুরে বাঘটিকে সিলেটের টিলাগড় ইকো পার্কে নিয়ে হস্তান্তর করলে পার্ক তদারকীতে থাকা লোকজন বাঘাটি লোহার খাঁচায় বন্ধি করে রাখেন।,
এদিকে তাহিরপুরের পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ জানান, জীব বৈচিত্রের আঁধার গাছ মাছ অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রম টাঙ্গুয়ার হাওর ঘেষা কিংবা বারেকটিলা টিলা কেন্দ্রীক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় সময়ই তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকায় বিলুপ্ত প্রজাতির ভাল্লুক, মায়া হরিণ, বাঘ ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপ উদ্যার হলে সেগুলো নিযে যাওয়া হয় কয়েকশত কি.মি. দুরের সিলেটের ইকো পার্কে। উদ্ধার হওয়া এসব বন্যপ্রাণী স্থানীয় ভাবে সংরক্ষণ করা হলে পর্যটক ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এসব বন্যপ্রাণী দেখার, জীব বৈচিত্র সম্পর্কে জানার সুযোগ পেত।