জাকির হোসেন রাজু::
আখ চাষ করে লাভের মুখ দেখছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইকরহাটিয়া গ্রামের অসংখ্য কৃষক। আখ বিক্রি করে পাচ্ছেন নগদ টাকা। বদলে যাচ্ছে তাদের ভাগ্য, স্বচ্ছলতা ফিরে আসছে সংসারে। এখন তারা সুখে জীবন-যাপন করছেন।
জানা গেছে আখ চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে অনেক কৃষক পরিবার। গত কয়েক বছরে আখ বিক্রি করে অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলের দৃশ্য দেখে কৃষকরা ঝুঁকছেন এখন আখ চাষে। আখ চাষে কাঁচা টাকা পেয়ে কৃষকের ঘরে আনন্দ উৎসব চলছে। মনের আনন্দে কৃষকের ক্ষেত থেকে আখ সংগ্রহ এবং ট্রাকে ভর্তি করার ওই চিত্র এখন উপজেলার বসন্তপুর বাজার ও শক্তিয়ারখলা বাজার এলাকা জুড়ে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাটিতে চাষ করা আখ আকারে বড়, রস বেশি ও মিষ্টি। আর এ কারনে এখানকার আখের ব্যাপক চাহিদা। স্তানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে বিক্রি করতে পারছে । এই মাটি আখচাষে উপযোগী বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ খবর ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আখ চাষে কৃষকের স্বচ্ছলতার কাহিনী। উপজেলার ইকরহাটিয়া গ্রামের কৃষক হানিফ মিয়া(৪৫) সর্বপ্রথম ১৫ শতক জমিতে আখ চাষ শুরু করেন ৩ বছর আগে। এতে উৎপাদন খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা। আর সেখানে আখ বিক্রি করেছিলেন প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তার ক্ষেতের আখ আকারে বড় ও মিষ্টি হওয়ায় হাটবাজারে ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। পরের বছর আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করেন এবং আবারও লাভের মুখ দেখেন। তার দেখাদেখি ইকরহাটিয়া গ্রামের প্রায় অনেক কৃষক অন্য ফসল কমিয়ে আখ চাষে ঝুঁকে পড়েন। এতে গ্রামের সব কৃষক উৎপাদনের খরচ বাদে দ্বিগুন টাকা লাভের মুখ দেখেন। তারপর থেকে ওই গ্রামের মানুষ প্রতিবছরই আখ চাষ করে থাকেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষ লাভজনক হওয়ার কারনে আস্তে আস্তে উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের জলিলপুর, পুরানগাঁও ও গন্ডামারা এলাকার কৃষকরা আখ চাষ শুরু করেছেন। ওইসব এলাকার কৃষক আখ বিক্রি করে কাঁচা টাকা ঘরে তোলে। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছলতা ফিরে এলাকার আসছে কৃষকদের