বিশেষ প্রতিনিধি::
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) বৈঠকের আগে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও সুনামগঞ্জের সজ্জন রাজনীতিবিদ এমএ মান্নান পরিষদের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাত্র ১৬ সেকেন্ড একান্তে কথা বলার সময় পেয়েছিলেন। এই স্বল্প সময়েই ছাতকের সুরমা সেতুর নির্মাণে অনুমোদন দানের বিশেষ অনুরোধ জানান তিনি। এর আগেও তিনি একাধিকবার এই জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছেন। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেকে) ১১২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সুরমা সেতুর পুননির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছে।
জানা গেছে মঙ্গলবার সকালে একনেক বৈঠকের আগে পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন স্থলে আসার সময় এমএ মান্নানও কাছাকাছি ছিলেন। তিনি কুশল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কোন ভণিতা না করেই ছাতকে চারদলীয় জোট সরকারের ভুলের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া সেতুটির পুননির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পুরনো প্রতিশ্রুতিটি স্মরণ করিয়ে বলেন, শুধু ছাতক-দোয়ারাই নয় বৃহত্তর হাওর জেলার অন্যান্য এলাকাও এই সেতুর উপকার ভোগ করবে। এই সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা এলাকার গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও তিনি এর আগে এ বিষয়টি উত্তোলন করে পুননির্মাণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রকল্পটি এগিয়ে রাখেন। এমএ মান্নান একনেকের গত বৈঠকে সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করায় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদনের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন লাভের পর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ডিপিপি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এমএ মান্নান, বলেন গতকাল মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকের শুরুতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে স্বল্প সময়ের কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। বরাবরের মতো ওই স্বল্প সময়েই আমি আমার জেলার উন্নয়নের দাবি জানিয়েছি। ওই সময়ে আমি নেত্রীকে ছাতকের সুরমা সেতুটি পুননির্মাণের অনুরোধ জানাই এবং তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জনগুরুত্ব পূর্ণ ব্রিজটি এলাকার গণদাবি বলে তাকে অভিহিত করি। এর আগেও আমি এ বিষয়ে নেত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। নেত্রী আমাদের জেলার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা সুনামগঞ্জ জেলাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ। শুধু যোগাযোগ বিপ্লবই নয় ব্যবসা, শিক্ষা, পর্যটনসহ নানাভাবে এই সেতুর সুফল পাব আমরা। এভাবেই ধিরে ধিরে আমাদের সুনামগঞ্জ নেত্রীর কল্যাণে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাবে।