রাজন চন্দ::
নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গে পরেছে এলজিইডি নির্মিত তাহিরপুর খাদ্য গুদামের নদী তীরবর্তী প্রতিরক্ষা দেয়াল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ কাজে স্থানীয় লোকজন অনিয়মের অভিযোগ আনলে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ অভিযোগ কারীদের বলেন, আমি নিজে দাড়িয়ে কাজ করিয়েছি কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হয় নি। কিন্তু কয়েক মাস সময় অতিবাহিত হতেই নি¤œ মানের কাজের কারণে খাদ্য গুদামের প্রতিরক্ষা দেয়ালটি দ’ুপাশে ভেঙ্গে যায় সেই সাথে পুরোটা দেয়াল নদী গর্ভে হেলে যায়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ রকম নি¤œ মানের কাজ এলজিইডি করালে প্রত্যন্ত এলাকায় ঠিকাদার কি কাজ করে তা শুধু মাত্র এলজিইডি ও সংশ্লিষ্ঠরাই জানে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর মার্চ মাসে উপজেলা রাজস্ব উন্নয়ন তহবিলের ফান্ড হতে তাহিরপুর খাদ্য গুদামের প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ৭২ ফুট দঘ্যৈ ও ৬ ফুট প্রস্ত প্রতিরক্ষা দেয়ালের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৯ লক্ষ টাকা। লটারী মাধ্যমে এ কাজের দায়িত্ব পান আলমগীর এন্টারপ্রাইজ বিশ^ম্ভরপুর। এ কাজে তদারকির দায়িত পালন করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ। প্রথম থেকেই কাজে নি¤œমানের বালি পাথর ও রড সিমেন্ট কম দিয়ে দায়সারা কাজ করায় তাহিরপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী বরাবরে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগকারীদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ার, আমি নিজে দাড়িয়ে কাজ করাচ্ছি ভাল মন্দ আমাকে বুঝাতে হবে না।
যতদুর জানা যায়, কাজ চলাকালীন সময়ে এপ্রিল মাসের শেষ দিকে উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর এন্টারপ্রাইজকে ৬ লক্ষ টাকা বিল প্রদান করেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই তাহিরপুর খাদ্য গুদামের প্রতিরক্ষা দেয়ালটি দু’পাশে ভেঙ্গে যায় সেই সাথে সম্পূর্ন দেয়ালটি নদীর দিকে অনেকটা হেলে পরে। তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি দিলীপ কুমার চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিয়া সহ বাজারের একাধিক ব্যবাসায়ী বলেন, কাজ চলাকালীন সময় আমরা উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের নি¤œ মানের কাজের বিষয়টি অবহিত করেছিলাম কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী আমাদেও কথার গুরুত্ব দেননি।
তাহিরপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গোলাম আওলিয়া বলেন, খাদ্য গুদামের নদীর তীরবর্তী এলজিইডির নির্মানাধীন প্রতিরক্ষা দেয়ালটি কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ভেঙ্গে পড়েছে।
উক্ত কাজের ঠিকাদার আলমগীর হোসেন দেয়ালের কাজটি ভেঙ্গে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। কাজ তদাড়কি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ এ বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) শাহ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ কাজটি নির্মান অবস্থায় ভেঙ্গে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ কাজের ডিজাইনে ভূল থাকায় কাজটি ভেঙ্গে পড়েছে। সেই সাথে সাংবাদিকদের তিনি সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, কাজ চলাকালীন সময়ে নি¤œ মানের কাজ হওয়ায় আমাকে অনেকে জানিয়েছিল। যে কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই দেয়ালটি ভেঙ্গে পড়েছে।