বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীতে নৌকায় চাঁদাবাজি করার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ গ্রুপ চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত নৌকা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সুলেমানপুর বাজার সম্মূখ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাটলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
কিন্তু পাটলাই নদীর মুজরাই-কামালপুর এলাকা দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথার মালবাহী নৌকা থেকে আরেকটি গ্রুপ সরকারী চাটবিহীন ৩৫০ টাকা সরকার নির্ধারীত করা হলেও প্রতি ছোট ষ্টিলভডি নৌকা থেকে ১ হাজার জোড় পূর্বক উত্তোলন করছে মতিউর রহমান নামে আরেকটি গ্রুপ। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এক ছাত্রলীগ নেতা ২৫,০৬,১৯ইং। কিন্তু এই বিষয়ে কোন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে নৌকা পরিবহন শ্রমিক মালিক ও স্থানীয় ঐলাকাবাসী জানান।
এসব অভিযোগের ভিত্তিত্বে পাটলাই নদীতে দুপুরে অবস্থান নেয় তাহিরপুর থানার এসআই হুমায়ুন কবীর তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার সুলেমানপুর গ্রামের পাবেল, রুবেল, তালহা, হাবিব, লোহাচুরা গ্রামের মনছুর ও মাহতাবপুর গ্রামের হোসেন মিয়াসহ সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলটি কয়লা ও চুনাপাথার মালবাহী নৌকার মাঝিদের মারধর করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে তারা নদীতে নৌকা ফেলে সাঁতড়ে ও দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত ফেলে যাওয়া ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি জব্দ করে তাহিরপুর থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর থানার এসআই হুমায়ুন কবীর।
চাঁদাবাজরা প্রতি মালবাহি স্টিলবডি নৌকা থেকে ২হাজার টাকা এবং বাল্কহেড নৌকা থেকে ৫হাজার করে চাদার টাকা আদায় করে আসছিল।
কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার আল্লার দান নৌকার মাঝি হীরা মিয়া জানান,আমরা অনেক দিন ধরে পাটলই নদী দিয়ে কয়লা,চুনাপাথর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করে থাকি। পাঠলাই নদীতে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলটি আমাদের নৌকা থেকে চাঁদা তো জোড় করে আদায় করেই কোন কোন সময় চাঁদা দিতে না পারলে তারা আমাদের শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে এমনকি নৌকা থেকে তারা থালাবাসন পর্যন্ত নিয়ে যায়।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাত (রিফাত) জানান, মতিউর রহমান শ্রীপুর নৌকা ঘাট ইজারা আনলেও পাটলাই নদীর মুজরাই-কামালপুর এলাকা দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথার মালবাহী দৈনিক শতাধিক নৌকা থেকে সরকার নির্ধারীরত ২শত-৩৫০টাকার স্থলে ১হাজার টাকা জোড় পূর্বক টাকা উত্তোলন করেছে। ঐসব চাঁদাবাজদের বিরোদ্ধে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। তর্দন্ত করেও গিয়েছিল সার্ভেয়ার কিন্তু এখান কোন রির্পোট দেয় নি। আর অতিরিক্ত এদিকে টাকা উত্তোলন বন্ধ হয় নি এখনও।
তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারক সমিতির কোষাধক্ষ হাজি জাহের আলী বলেন,পাটলাই নদীতে নৌ-চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা কয়লা চুনাপাথর পরিবহনে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এভাবে পুলিশের অভিযান চলমান অব্যহত থাকলে চাঁদাবাজরা নিরুৎসাহিত হবে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।