মাহবুব আলম মাহবুব, ছাতক ::
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে ছাত্রলীগ ও অটোটেম্পু শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, পথচারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। রোববার বিকেলে প্রায় আড়াই ঘন্টা ব্যাপী গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দদেরকে অভিন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল শেষে পথসভায় ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম কে অটোটেম্পু শ্রমিক ইমামুল হক কটুক্তি করলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। পরে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ মিছিল বের করে। ‘প্রতিবাদ মিছিলটি পয়েন্টেস’ অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় অতিক্রম করতে গেলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ২৫-৩০টি সিএনজি ও লেগুনা গাড়ি।
সংঘর্ষ চলাকালে দু’পক্ষের ছোঁড়া ইট-পাটকেলে পথচারী, সালিশকারী ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট- সুনামগঞ্জ ও ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলা-চল বন্ধ হয়ে পড়ে। গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টসহ.এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। এসময় পয়েন্টসহ এলাকার সকল দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে আহত সেচ্ছাসেবক লীগনেতা.ওবায়দুর রউফ বাবলু, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তাজাম্মুল হক রিপন, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন বাবলু, নাজমুল হোসেন, এসকে মাহিন, পাবেল, জিলানী, সালমান, সাজু, বাবলুর রহমান, রাসেল আহমদ, আবুল কাসেম, মোতাহার, সুমন মিয়া, দ্বীনুল ইসলাম, শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম, সাকিল, সদর, সাব্বির, বিরহাম, এনামুল হক, আহমদ আলীসহ আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ছাতক থানার এসআই সোহেল রানা জানান, পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন করতে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ৬ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসময় এসআই সোহেল রানা, কনষ্ট্রেবল মাহফুজ ও সুমন পাল আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত -রয়েছে। গোবিন্দ আব্দুল হল স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাজামুল হক রিপন জানান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত কমিটি কে অভিনন্দন জানিয়ে বের করা কলেজ ছাত্রলীগের মিছিল শেষে ষ্ট্যান্ডে পথ সভা করতে গেলে সভা স্থলে এক শ্রমিক তার গাড়ি ঢুকিয়ে রাখলে এনিয়ে কথা কাটা-কাটি হয়েছে। এসময় শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন তাদের পথসভায় হামলা চালিয়ে ২০জন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীকে আহত করেছে।
পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপি নেতা অটোরিক্সা অটোটেম্পো স্ট্যান্ডের সভাপতি আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েক জন সিএনজি চালক তাদের কার্যালয়ে ঢুকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।