স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে দখল ও দূষণের শিকার ৫টি খাল উদ্ধারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশীদ। স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা অ্যাড. ড. মফচ্ছির মিয়া, সভাপতি ফৌজি আরা বেগম শাম্মী, সহ-সভাপতি মো. শওকত, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জনি রায়, নজির আহমদ, সমাজসেবা সম্পাদক নুরুল হাসান আতাহার, উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, সদস্য হাফিজ আহমদ, রেশিন আহমদ, মো. নজরুল, মনোয়ারা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রবাহমান খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলায় সুনামগঞ্জ শহরবাসীর জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত ২৮ জুন শুক্রবার প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে শহরের বিভিন্ন অফিস, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক ও পাড়া-মহল্লা প্লাবিত হয়ে অনেক দোকান-বসতঘরে পানি প্রবেশ করায় নাগরিকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। এমতাবস্থায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে নাগরিকদের রক্ষা পেতে হলে শহরের পানি প্রবাহের প্রধান ৫টি খাল ধোপাখালি খাল, বলাইখালি খাল, কামার খাল, তেঘরিয়া খাল ও বড়পাড়া খালসমূহ উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রবাহমানতা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, বিগত বিভিন্ন সময়ে দখল ও দূষণের শিকার খালগুলো উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু হলেও রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ হয়। তাই এবার আমরা জনবান্ধব জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানাই খালগুলো দখল ও দূষণের কবল থেকে রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এই ৫টি খাল উদ্ধার হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন শহরের নাগরিকরা।
(দৈনিক সুনামকণ্ঠ)