স্টাফ রিপোর্টার::
ফেরদৌসী সিদ্দিকা। সুনামগঞ্জের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হকের মেধাবী এক তরুণী সাহসিকা নারী। তারুণ্যের স্পর্ধা ও জাগরণে ২০০৮ সনে সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই অদম্য নারী। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন এলাকার জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আঞ্চলিক বিভিন্ন সমস্যা ও ইস্যু নিয়ে কথা বলছেন নিয়মিত। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এই নারী সমাজের সর্বক্ষেত্রে সম অধিকার-উন্নয়ন বিষয়ে কথা বলছেন বিভিন্ন ফোরামে।
মানুষের পাশে থাকার অঙ্গিকার নিয়ে যাত্রা শুরু করা ফেরদৌসী এবার আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে চষে বেড়াচ্ছেন এলাকা। উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি মাঠে নেমেছেন। আরো বড় পরিসরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে স্বপ্নবাজ এই প্রগতিশীল তরুণী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্যপদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও নারী সস্যদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তাদের সহযোগিতা চাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার পিতার রণাঙ্গনের যোদ্ধা ও গুরুজনদেরও দোয়া চেয়ে তাদের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করেছেন।
উপজেলা পরিষদে দায়িত্ব পালনের সুবাদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের কারণে সহজেই তিনি তাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তার স্বপ্ন ও লক্ষ্যের কথা বলছেন। জানা গেছে ইতোমধ্যে একাধিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ নারী জনপ্রতিনিধিরা ফেরদৌসী সিদ্দিকাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
ফেরদৌসী সিদ্দিকা বলেন, আমার পিতা জীবন ও যৌবন বাজি রেখে এই দেশকে স্বাধীন করে গেছেন। আমরা তার সেই ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত দেশকে রক্ষা ও পরিচালনার স্বপ্ন দেখছি। সেই লক্ষ্যেই মানুষের পক্ষে, মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য আমি নিজেকে তৈরি করছি। সমাজ ও মানুষের উপকারে আসতে পারলেই আমি আনন্দ পাই। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষি ওয়ার্ডে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করে এই তরুণি বলেন, আমি আমার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে প্রতিদিনই সম্মানীত চেয়ারম্যান, মেম্বার ও আমার নারী সদস্যদের কাছে যাচ্ছি। তারা আমার পাশে থেকে আমাকে সমর্থন জানানোর অঙ্গিকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পেয়ে আমি খুশি।