সাজ্জাদ হোসেন শাহ::
গত তিন দিনের পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে তাহিরপুর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বন্ধর য়েছে প্রায় ১০ দিন। বুধবার সরেজমিনে তাহিরপুর উপজেলার বিন্নাকুলী, লামাশ্রম, মোদেরগাও, কামালপুর, রহমতপুর, গাঘড়া, গড়কাটি, পাঠানপাড়া, কোনাটছড়া, দিঘিরপাড়, সোহালা, দক্ষিনক’ল, মাহতাবপুর, পিরিজপুর, নয়াহাঠ, আনোয়ারপুর, বালিজুরী, পাতারি, তিওরজালাল, বারুঙ্কা, চিকসা, বীরনগর, জয়নগর, উজানতাহিরপুর, ভাটিতাহিরপুর, রতনশ্রী, শাহাগঞ্জ, সোলেমানপুর, সিলানিতাহিরপুর, মন্দিয়াতা, নয়াবন্দ, তরং, শ্রীপুর, বালিয়াঘাট, ডাম্পেরবাজার, বড়ছড়া, টেকেরঘাট, লাকমা, লালঘাট, চারাগাও, কলাগাও, বাগলী, বীরেন্দ্রনগরসহ প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়ছে।
এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কার্লভাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গত দুদিন ধরে উপজেলার বাগলী শুল্ক ষ্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন, বাগলী চুনাপাথর ও কয়লা আমদানীকারক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক মাষ্টার, সহ সভাপতি উমর আলী, কোষাধ্যক্ষ ডা. মনির হোসেন, সদস্য আলী হোসেন। স্থানীয় কৃষকলীগ নেতা গোলাম মস্তুফা, এসব এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ মন্দিরের ভিতরে পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম। বন্যাপরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদেও সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, বাদাঘাটইউপি চেয়ারম্যান আফতাবউদ্দিন প্রমুখ। তাছাড়া তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলও দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে ১১৫ জনকে ১৫ কেজি করে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, আগামীকাল আরো ১২০ জনকে ত্রাণ দেয়া হবে। তিনি আরো জানান পর্যায়ক্রমে বন্যা কবলিত আরো ২৬৫ জনকে ত্রাণ দেয়া হবে।