স্টাফ রিপোর্টার::
৭১’র মুক্তিযোদ্ধ কালীন সময়ে ৫নং সেক্টরের ট্যাকেরঘাট ৫নং সাব সেক্টর প্রাঙ্গনে সোমবার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও নামাজের জানাজা শেষে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক (৬৫) কে শহীদ সিরাজ বীর বিক্রমের সমাধী পাশে দাফন করা হয়। উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের নোয়াবন্দ গ্রামের প্রয়াত আবদুল জহুরের জেষ্ঠ ছেলে বিসিআইসির ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের সাবেক সিবিএ নেতা ও ৫ নং সাব-সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা লাকমা নতুনপাড়ার বাসিন্দা আবদুল হক ঢাকার মিরপুরের মিল্কভিটা ওয়াসা স্টাফ কলোনিতে রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বড় মেয়ের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। মরহুমের মৃতদেহ সোমবার সকালে ট্যাকেরঘাটের লাকমা নতুনপাড়ার বাসায় নিলে এলে সেখানে আত্বীয়-স্বজন, যুদ্ধকালীন সময়ের সহযোদ্ধা ও প্রকল্পের তৎকালীন সহকর্মীরা শেষ বারের মত এই কৃতি ফুটবলার ও সমাজ সেবককে এক নজড় দেখার জন্য ভীড় করেন। পরে সকাল ৯টায় প্রকল্পের সাব-সেক্টর প্রাঙ্গনে ঈদগাহ মাঠে থানা পুলিশের ৬ সদস্যের একটি চৌকস দল মরদেহ’র প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মানণা প্রদান করেন। এরপর সকাল ১০ টায় মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে মেঘালয় পাহাড়ের কুলঘেষা নো-ম্যান্স ল্যান্ডে শহীদ সিরাজ বীর বিক্রমের সমাধী স্থলে তার লাশ দাফন করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মাণনা প্রদানকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত কুমার দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব মোজাহিদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. রৌজ আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুল আউয়াল আখঞ্জি, ইউনিয়ন কমান্ডার আলকাছ মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরুল আলম , প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন , এএসআই তপন কুমার দাস, পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির উপ-পরিচালক, যুগান্তরের তাহিরপুরের ষ্টাফ রিপোর্টার, ও সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাবিব সরোয়ার আজাদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ ও মরহুমের যুদ্ধকালীন সময়ের সহযোদ্ধাগণ, প্রকল্পের সহকর্মী, গণমাধ্যকর্মী, শিক্ষক সমাজ ও এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।