আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন অনেক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ও আমরা একমত হতে পারি না। কিন্তু আমি আপনাদেরকে ভুল প্রমানিত করে দিতে পারি। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মানুষ আজ একমত” জামালগঞ্জ বনাম সাচনা বাজার সেতু আমারা চাই”।এ দাবি আজ গণ দাবিতে পরিণত হয়েছে।
যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁজ খবর রাখেন তারা দেখতে পাবেন যে, অধিকাংশ ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের টাইম লাইনে এ দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এবং অনেকের মনে এরকম প্রশ্ন জাগে যে আমাদের নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা কি বুঝেন না যে এই সেতুটি আমাদের জন্য কতটা জরুরি।
সরজমিনে অনেকের সাথে কথা বললে তারা এ বিষয়টি নিয়ে চরম হতাশা ও জন প্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন বলেন, ভোটের সময় আইলেই কয় সেতু হইব তারপর আর খবর নাই।এখন আল্লাহ চাইলে অইব আর না হইলে নাই।
আরেকজন ত ব্যঙ্গ করে বলেন,মনে হয় ব্যারেষ্টার সুমন ভাইরে দিয়া লাইভ করালেই হইব।
আওয়ামী সরকারের গত আমলে ভূমি মন্ত্রী সাচনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে বলেছিলেন সুরমা নদীর উপরে ব্রীজ করে দিবেন।
জামালগঞ্জ ফেনারবাকঁ,সাচনা বাজার, ভীমখালী ও বেহেলী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের প্রধান হাট- বাজার হচ্ছে সাচনা বাজার। নদী পারাপারের এ সমস্যা তাদের কাছে নিত্যনৈমক্তিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীট জামালগঞ্জ সরকারি ডিগ্রী কলেজ, জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নদী পারাপারের সময় নানামুখী সম্যাসা সম্মুখীন হতে হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রী অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দুইটি থাকলেও অনেক সময় একটা নৌকা থাকে। আর নৌকা গুলি ও অনেক ছোট। অনেক সময় তাদের খেয়া নৌকায় যাতায়াত করতে হয়।খেয়া নৌকায় উঠলেই মনে হয় এই বুঝি ডুবে যাচ্ছে এরকম অবস্থায় দূঘর্টনা ও ঘটে থাকে অনেক সময়।
তাছাড়া উপজেলা সদর হাসপাতালে আসার জন্য নদী পার হতে হয় বিধায় রোগী গর্ভবতী মহিলাদের চরম ভোগান্তি শিকার হতে হয়। সোনালী ব্যাংক, পূর্বালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক লেনদেন করার জন্য ব্যবসায়ীদের নদী পার হতে হয়। এ ব্যাপারে সাচনা বাজারে কিছু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা এ ব্যাপারটি নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেন ও তারা সুরমা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রতি নয় বাস্তবায়ন চান।আর নদী পারাপার অনেক সময় লাগায় তাদের ঠিকমত লেনদেন করাতে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
দিনের বেলায় অনেক সময় নদী পারাপারে জন্য আপনাকে রীতিমত যুদ্ধে অবতীর্ন হতে হবে।
যাতে করে স্কুল ফেরত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অন্যান্য দেশের মানুষদের ভোগান্তির কোন সীমা থাকে না।
যারা মটর সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করেন তারা চরম ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে নদী পারাপার করে থাকেন।অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার ও হন।
এ ত গেল দিনের বেলা।রাতের সমস্যা যে কি রকম তা একমাত্র ভুক্তভোগী জানেন।
অনেক সময় রাতে ৮-১০ টার মধ্যে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর খেয়া নৌকা পাওয়া গেলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।
যারা এখানে ভাড়া আদায় করেন তাদের বিরুদ্ধে নানা রমক অভিযোগ পাওয়া যায়। যেমন – অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ছাত্রছাত্রী শিক্ষক – শিক্ষিকার সাথে খারাপ ব্যবহার আরও কত কি।
ইতিপূর্বে ভূমিমন্ত্রী এমপি, প্রকৌশলী, চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছ থেকে আমরা অনেক আশ্বাস পেয়েছি।
মাননীয় মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান এমপি (পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়), মাননীয় মন্ত্রী জনাব তাইজুল ইসলাম এমপি( স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়), মাননীয় সদস্য – ২২৪ সুনামগঞ্জ ১ জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি,সুনামগঞ্জ – মৌলভীবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যা এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার ও জামালগঞ্জ উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব ইউসুফ আল আজাদ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল,ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ইঞ্জিনিয়ার গোলাম জিলানী আফেন্দি রাজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার আপনাদের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টি কামনা করছি।
পরিশেষে বলতে চাই জামালগঞ্জ বাসী আর কোন প্রতিশ্রতি চায় না।সুরমা নদীর উপর জামালগঞ্জ টু সাচনা বাজার সেতুর বাস্তবায়ন চায়।