বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে গত আট দিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে বন্যাপরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে হাওরাঞ্চলের গ্রামীন গোরস্তানগুলো তলিয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। অধিকাংশ এলাকায় সামাজিক কবরস্থানগুলো তলিয়ে যাওয়ায় গোর দাফন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষেরা।
জানা গেছে জেলার মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোর প্রতিটিতেই গোরস্তান রয়েছে। মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ মারা গেলে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে গোরদাফন করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঢল ও বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় গোরস্তানগুলোও তলিয়ে গেছে। মোহনপুর, বৈঠাখালি, সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ, গোবিন্দপুরসহ একাধিক গ্রামের গোরস্তানগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও প্লাবিত ১১টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেরই গোরস্তান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গোবিন্দপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাহিনুর ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের গোরস্তান পানিতে তলিয়ে গেছে। গোর দাফনের জায়না নেই। এই অবস্থা চললে কেউ মারা গেলে গোরদাফন করা যাবেনা।
সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, বন্যায় আমাদের এলাকার অধিকাংশ গ্রামের গোরস্তান তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা দুশ্চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন, এখন কেউ মারা গেলে সমস্যায় পড়বে পরিবার। কারণ চারিদিকেই থৈথৈ পানি।