হাওর ডেস্ক::
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতকে অবস্থান বদলের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। গতকাল সোমবার (১৩ আগস্ট) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গলি বলেন, নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করে ভারতের উচিত সেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা কেড়ে নেওয়ার এক সপ্তাহ কেটে গেছে। এখনও সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা বন্ধ। ঈদের দিনও বন্ধ ছিল বড় মসজিদগুলো। ১৯৪৭ এর পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বিবাদ চলছে। এখন পর্যন্ত সহিংসতায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নিপীড়ন বন্ধ করে ভারত সরকারের উচিত সেখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জননিরাপত্ত আইন ও প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নেওয়া বিশেষ ক্ষমতার আইন বন্ধ করা উচিত। এতে সরকারি বাহিনীর সদস্যরা বিচারের বাইরে থেকে যান। এতে নিরাপত্তা চৌকিতে কাশ্মীরিদের হয়রানি করার ঘটনাও কমবে।
তবে এর আগে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করে মানবাধিকার সংস্থাটি। বলা হয়, অচলাবস্থা বন্ধ করে সংবাদমাধ্যমকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া ও সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া জরুরি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেকোনও দেশই ব্যতিক্রমী বাস্তবতায় কোনো স্থানে অধিকার স্থগিত রাখতে পারেন। কিন্তু এটাই ‘স্বাভাবিক’ জীবনযাত্রা হতে পারে না। ভারত সরকারের উচিত নিজেদের কাশ্মীর নীতি থেকে সরে আসা এবং তা করা উচিত খুব দ্রুত।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ওইদিন সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর কার্যত অচল। দোকানপাট, স্কুল, কলেজ ও অফিস বন্ধ। সড়কে নেই গণপরিবহন। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা জনশূন্য সড়কে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র সেনারা। নিরাপত্তা চৌকি, নজরদারি আর কারফিউয়ের ঘেরাটোপে বন্দি কাশ্মীরিরা।