ধর্মপাশা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশিকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের কলারচড়া গ্রামের সুমাইয়া আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরী ইউএনও মো.ওবায়দুর রহমানের হস্তক্ষেপে শুক্রবার দুপুরে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। সে মহেষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.ওবায়দুর রহমান বলেন,আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই যে শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার বংশিকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের কলারচড়া গ্রামের বাসিন্দা শহীদ মিয়ার মেয়ে ও মহেষখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণার জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি গ্রামের এক যুবকের (৩০) সাথে বিয়ের আয়োজন চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি মধ্যনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেই ঘঁনাস্থলে যাওয়ার জন্য। সাথে সাথেই পুলিশ কনের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজনের সত্যতা পায়। এ সময় ওই ছাত্রীটির বাবাকে বাল্যবিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এর কোনো স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর কনের বাবা ও তাঁর স্বজনেরা এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সম্মন হন এবং ১৮বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন এবং একটি মুচলেখাও আনা হয়েছে।