অনলাইন ডেক্স::
সন্ত্রাস দমনে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষজ্ঞ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল আজ রোববার এ প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এ কথা জানিয়েছেন। এই সহায়তা কীভাবে তাঁরা দেবে বা বাংলাদেশ তা কীভাবে নেবে, সে ব্যাপারে কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নিশার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ১ জুলাইয়ের জঙ্গি হামলা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য নিশা দেশাই আজ রোববার সকালে ঢাকায় এসেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে মার্কিন সহকারী মন্ত্রী রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। এই বৈঠকে উপস্থিত দুটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার তদন্তে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এদিকে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুটি বৈঠকে নিশা দেশাই বলেছেন, ‘আমাদের এই দুটি দেশকেই সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের জন্য সমবেদনা জানান নিশা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে আমরা শোক ভাগ করে নিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার সব সময়ের মতোই অটুট থাকবে।’
সাক্ষাতের সময় নিশা দেশাইয়ের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানপ্রিত আনন্দ।
এদিকে কাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন নিশা। বেলা তিনটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন। সকালে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক হওয়ার কথা আছে।
গত মে মাসের পর এটি তাঁর দ্বিতীয় ঢাকা সফর। ওই সময় রাজধানীর কলাবাগানের বাসায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ঢাকা সফর করেন। ওই সময়ও তিনি সরকারকে বেশ কিছু বিষয়ে সহায়তার প্রস্তাব দেন।
গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছিলেন। ৩ জুলাই সন্ধ্যায় জন কেরি ফোনে বলেন, সন্ত্রাস নির্মূলে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও সহানুভূতি জানান প্রেসিডেন্ট ওবামা।