অনলাইন ডেক্স::
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান।
এদিকে পৃথক এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দেশে পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাল সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেবে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের বয়ান নজরদারি করা হবে। আর যাঁরা খুতবা পড়াবেন, তাঁরা যেন প্রকৃত ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন, সে বিষয়টিও দেখা হবে।
আজকের বৈঠকে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ও শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের কাছে জঙ্গি হামলার ঘটনায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর যেসব সদস্য সক্ষমতা দেখিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তবে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে হবে এবং তাদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৩৭টি মামলার মধ্যে কোনিও হোশি, সিজার তাবেলা হত্যাসহ ১৪টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। বাকিগুলো তদন্তাধীন।
আমু বলেন, বৈঠকে জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সামাজিক সচেতনতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। আর এটি করতে সব শ্রেণির মানুষকে সম্পৃক্ত করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বাড়াতে হবে। বিশেষ করে রপ্তারিকারক ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। গুলশান এলাকায় অননুমোদিত স্কুল, কলেজ, হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া বৈঠকে গুলশান হামলার ঘটনায় সিএনএনের সম্প্রচারের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা মনে করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সিএনএন প্রায় দেড় দিন ধরে ওই ঘটনা প্রচার করেছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ কয়েকজন মন্ত্রী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।