স্টাফ রিপোর্টার::
মা ও মেয়ে, ছেলে ও বাবা একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সঙ্গীতের। আর এই সুযোগ করে দিয়েছে সুনামগঞ্জের কালচারাল ফোরাম নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনদিন বিষয়ক সঙ্গীত কর্মশালায় ১৬৫জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তনে প্রাণবন্ত পরিবেশে তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত শিক্ষক ও সহকারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। শনিবার সমাপনী অনুষ্টানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনাসহ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, লোক সঙ্গীতের রাজধানী হচ্ছে সুনামগঞ্জ। এই অঞ্চলের লোকশিল্পীরা লোকসঙ্গীতকে অনেক উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং সুনামগঞ্জকে লোক সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্টা করতে নতুন প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদেরকে কাজ করতে হবে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে প্রশিক্ষণ ও চর্চার বিকল্প নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সঙ্গীত নিরন্তর সাধনার বিষয়। যত বেশি চর্চা হবে ততই বেশি পরিশীলিত হবেন শিল্পী। সঙ্গীতের মাধ্যমে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে শিল্পীরাও এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা করেন বক্তারা।
আলোচনাসভা শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ১৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনসহ আলোচনাসভার আয়োজন ছিল। আলোচনাসভায় শহরের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্মশালায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি থাকলেও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষরাও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জেলা কালচারাল ফোরামের উদ্যোগে গত ৫ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমির হাসনরাজা মিলনায়তনে কর্মশালা শুরু হয়। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে অংশগ্রণকারীদের কালচারাল ফোরাম থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
কালচারাল ফোরামের সভাপতি সঙ্গীত শিল্পী সোহেল রানার সভাপতিত্বে ও দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পৌর মেয়র নাদের বখত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, শিল্পী অলক চক্রবর্তী বাপ্পা, জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাবেল, প্রথম আলো প্রতিনিধি খলিল রহমান, কালের কণ্ঠ ও একাত্তর টিভির প্রতিনিধি শামস শামীম, আমাদের সময় প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, বিধান চন্দ্র বণিক বাঁধন, অরুণ তালুকদার, কালচারাল ফোরামের সেক্রেটারি রিপন চন্দ প্রমুখ।