হাওর ডেস্ক::
সিলেটে ওসমানীনগর উপজেলায় মা ও মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খুলনায় মা ও মেয়েকে ধর্ষণ মামলার আসামী খোকন মিয়া (২৮) নামের যুবককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার বড় ইউসুফপুর গ্রামে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হন এ আসামী। পরে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ বাগেরহাটের ট্রাকচালক খোকন মিয়াকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ গুলাগুলির ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হন। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আসামির বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়। খোকন মিয়া বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধননগর গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আল মামুন জানান, খুলনায় বিয়ের আশ্বাসে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেন চালক খোকন। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে খোকনের সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়।
এরপর গত ১০ আগস্ট ওই নারীর মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে সিলেট নিয়ে আসেন খোকন। ওসমানীনগরে বড়ইউসুফপুর গ্রামের এক প্রবাসীর বাসায় রেখে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই বাসায় খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতেন। পরে জাহাঙ্গীরের মোবাইল দিয়ে ওই মেয়ে তার মাকে বিষয়টি জানান। গত শনিবার ওই মেয়ের মা সিলেটে এসে মামলা করেন।
ওসি বলেন, গতকাল রাতে বড় ইউসুফপুর গ্রাম থেকে খোকনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে ২০-১৫ লোক পুলিশের গাড়ি থামিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়লে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবলও আহত হয়েছেন।
এঘটনায় একটি পুলিশ অ্যাসাল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। খোকনের বাবা জাহাঙ্গীরকে আটক করে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে কিশোরীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।