আয়রে তই তই
ধুম মাঝদরিয়ায়
ঘুমিয়ে যাই লবণের ডানায়।
দেখি
মৎস্যকুমারের লেজের ডগায়
লেগে আছে
হীরামনপাখির বাসী কাজল
২
ঘূর্ণনের পর
একটা হাঁসের অধিক
আর কিছুই থাকে না
আমার চঞ্চু কি গ্রীবায়
৩
হুল্লোড় নিয়ে আকাশের
নিচে বসে পড়ি
তারপর ক্রমান্বয়ে
শরীর জুড়ে ঢেকে দিই
কবরের গোপনতা
৪
অতঃপর
ঈশ্বর আমার শরীর চুম্বন
করলেন,
সারাটা রাত অশুচি হয়ে
রইলাম।
ভোরে নদীর ঘাটে
জলে নামা বারণ হলো আমার।
ঘাড় ধরে বলে রাই বিনোদিনী :
মানভঞ্জন পালা শুরু হবে
আর আপনি এখনও উলঙ্গ!
৫
একদল যাযাবর কবর
আমার পিছু নেয়,
তাদের পড়ন্ত পাকস্থলি
ছলকে ওঠে। হাত রাখে আমার ঘাড়ে
কানের লতি টেনে ধরে
‘হাঁউ মাঁউ খাঁউ, মরার গন্ধ পাও’
৬
ঈশ্বর জানতেন
জন্মের পর আমি কখনোই তার সমকক্ষ
হয়ে উঠব না।
গামছা ভরে তাই বেঁধে দিলেন মেঘ, রোদ আর তারা
যেন নিজের একটা আকাশ আমি নিজেই বুনতে পারি।
কিন্তু তার অনেক আগেই মহাকাশের সাথে দেখা হয়ে যায় আমার
৭
শহর জুড়ে খাবারের দোকানগুলো
দেখে দেখে বিষম লাগে,
মনে হয় বাঙালি বাদে
আর কারো পেট ও পুটকি নাই।
৮
কবি তার অগ্নিশিখাগুলোকে
আবারো জানালা বানিয়ে ঘরের ভেতর আটকে দিলেন।
কবির ধারণা
জানালা ছাড়া ঘরের সৌন্দর্য ক্ষীণ এবং জীবনযাপন অস্বস্তিকর।
৯
তারপর
ঈশ্বর তাঁর নাভিকু- মেলে ধরলেন।
এক এক করে জড়ো করলাম দ্যুতিপ্রবাহ, জলগুঞ্জরণ আর ছায়ার ডিগবাজি
তখনও কত সহজ ছিল
দেনাদার পৃথিবী।
১০
সারাদিন ধকলের পর
শহরের বামন বাতিঘরের তলায় যখন দাঁড়াই,
আলোর ভেতর স্পষ্ট হয়
জামার জমিন।
খুব কায়দা করে জামা থেকে একটি বোতাম
খুবলে নিয়েছে
দেশভাগের বিভ্রম!
(লিটল ম্যাগ জাঙ্গালের সৌজন্যে)