হাওর ডেস্ক ::
পুজোর কাউন্টডাউন শেষ। আজ মহাপঞ্চামী। খড়-কঞ্চি-মাটি-রং কর্মযজ্ঞে দেবী দুর্গার রূপদান সমাপ্ত। শাস্ত্র মেনে ত্রিনয়নী দেবীর চক্ষুদান হবে আজ।
চারদিকে এখন শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ শিহরণ। শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের। কাল শুক্রবার মহাষষ্ঠী। দশমীতে দুর্গা বিসর্জন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, দুর্গতি বিনাশ করার জন্য তার আবির্ভাব, তাই দেবীর নামকরণ ‘দুর্গা’। আজ মন্দিরে মন্দিরে ঠাঁই দেওয়া হবে ঠাকুরকে। রাতের মধ্যে সাজসজ্জা, লাইটিং করা হবে। দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবীর নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা পূজা করা হবে।
মণ্ডপে-মন্দিরে আজ পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এ বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বোধন দুর্গাপূজার অন্যতম একটি আচার। ‘বোধন’ শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্ত। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। সাধারণত শুক্লা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন হলেও এবার তিথি অনুযায়ী পঞ্চমীতেই বোধন পড়েছে। শরৎকালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে।
বিভিন্ন পুরাণ অনুসারে, ভগবান রামচন্দ্র শরৎকালে রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার উদ্দেশ্যে দুর্গাপূজা করেন। তিনি অকালে এই বোধন করেন বলেই এটি অকালবোধন নামে খ্যাত। তবে বসন্তকালে চৈত্র মাসে যে দুর্গাপূজা তথা বাসন্তীপূজা অনুষ্ঠিত হয়, তাতে বোধন করার প্রয়োজন হয় না। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে।