হাওর ডেস্ক ::
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি শ্রম আদালত। সমনের পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত না হওয়ায় বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার তিন নম্বর শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের পেশকার নুরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন
গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।
মামলার বাদীরা হলেন প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এরমানুল হক।
এরপর আদালত সমন জারি করেন। সমনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন।
তবে ড. ইউনূস এদিন আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতকে জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে বিদেশে অবস্থান করছেন। দেশে এলে আদালতে উপস্থিত হবেন। তবে ওই আইনজীবী মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত পাওয়ার দেখাতে পারেননি। এ অবস্থায় আদালত তার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংগঠিত হওয়া ও নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা। ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহাপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নে আবেদন করলে ৯ জুন তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন গঠনের খবর জানার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৯৫ (ঘ) ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। তাই বাদীরা শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ৩১৩ ধারার তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ও ইউনিয়ন গঠন এবং তার কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এ মামলা করেন।
২৫৬টি তথ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এ আইটি সেবা দেয় গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স।