বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের সাড়ে ৫ বছরের শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় পরিবারের ৬জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা গ্রাম্য কোন্দল ও মামলার জেরেই পরিবারের লোকজনই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
এদিকে পোস্ট মর্টেমে সংশ্লিষ্ট নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ডাক্তার জানিয়েছেন আগে তুহিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে দুই কান ও লিঙ্গ কাটা হয়েছে। পেটে দুটি ছুরি ডুকিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গলাও কাটা। বিভৎস এমন খুনের ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।
নির্মম এ ঘটনাটি জাতীয়ভাবে নাড়া দিয়েছে। ক্ষুব্দ জনতা কঠোর বিচার দাবি করেছেন ঘাতকের।
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুন নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। তারা এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদের মধ্যেই ঘাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।
পুুলিশ জানিয়েছে, তুহিনের পরিবারের যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে তাদের কয়েকজন হত্যা ও লুটপাট মামলার আসামি। তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরও হত্যা মামলার আসামি। কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বাছিরের পুরনো বিরোধ রয়েছে। গ্রামের ছালাতুল ও সোলেমানের সঙ্গেও বিরোধ রয়েছে তুহিনের পরিবারের। যে ছুরি দুটি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই ছুরিতে ছালাতুল ও সোলেমানের নাম লেখা রয়েছে। তাদের ফাঁসাতেই হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরিতে নাম লিখে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই ঘাতক রয়েছে। গ্রাম্যা কোন্দল ও মামলার জেরেই এই নির্মম হত্যাকা- ঘটেছে।