বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের ৫ বছরের শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দুই স্বজনকে ১৪৪ ধারায় জবানবন্ধীর জন্য আদালতে তোলা হয়েছে। বিকেল পোনে চারটায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে তাদেরকে তোলা হয়। তবে আদালতে তোলার আগে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আনুষ্টানিকভাবে এই হত্যাকা- ও মামলা সংক্রান্ত কথা বলবেন। আদালতে স্বজনদের তোলার বিষয়টি স্বীকার করলেও নাম বলেনি পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুন নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। তারা এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদের মধ্যে থেকেই দুজনকে আদালতে তোলা হয়েছে।
সোমবার ভোর রাতে তুহিনকে হত্যা করা হয়। জবাই করে তার দুই কান ও লিঙ্গ কেটে ফেলা হয়। পরে পেটে দুটি ছুরি ডুকিয়ে তাকে মসজিদের পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনাটি জাতীয়ভাবে বেশ নাড়া দিয়েছে। ক্ষুব্দ সাধারণ মানুষ বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এদিকে তুহিনের জন্মস্থান দিরাই উপজেলার আইনজীবীরা এ ঘটনায় খুনিদের পক্ষে আদালতে আইনী সহায়তা দিবেন না বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই মামলা ও হত্যাকা- নিয়ে কথা বলব। তবে তুহিনের কয়েকজন স্বজনকে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্ধির জন্য তোলার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।