স্টাফ রিপোর্টার::
জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ষড়পল্লী স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেনীর মেধাবী স্কুল ছাত্রী শাহ সুমি বেগম (১৫)। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে সহপাঠিদের সঙ্গে বার্ষিক পরীক্ষা অংশ দিতে বিদ্যালয়ে রওয়ানা দিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা হলে আর যাওয়া হলোনা তার। এর আগেই খেয়ানৌকা ডুবিতে সলিল সমাধী হয়েছে তার। ওই ইউনিয়নের দাওরাই গ্রামের কৃষক শাহ আলতা মিয়া মেয়ে। শনিবার সন্ধ্যায় আলুখালি নদীতে তার লাশ খুজে পান স্বজনরা।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শাহ সুমি বেগম প্রতিদিনের ন্যায় বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গ্রামের অন্যান্যা সহপাঠিদের সঙ্গে দাওরাই বাজারের নিকটবর্তী আলুখালি পার হওয়ার জন্য খেয়ানৌকায় উঠে। সকাল ৯টার দিকে খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকাটি হঠাৎ করে নদীর মাঝ পথে ডুবে যায়। এ ঘটনায় নিখোঁজ হয় সুমি বেগম। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ, জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিস’ ও সিলেট থেকে আসা একটি ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ। প্রায় ৯ ঘন্টা অভিযান চালানোর পর সন্ধ্যায় ছয়টায় স্কুল ছাত্রীর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয়। কৃষক শাহ আলতাব মিয়ার ৬ মেয়ের মধ্যে চর্তুথ ছিল সুমি। সবার ছোট একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে মেয়ের মৃত্যুতে মা জাহানারা বেগমের বুক ফাঁটা আর্তনাত আর আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। বার বার কান্নায় জ্ঞান হারিয়ে বিলাপ করছেন।
মৃত স্কুল ছাত্রীর চাচাত্ব ভাই আবুল হোসেন জানান, পরীক্ষায় অংশ নিতে সকালে সুমি বেগম তার মাকে সালাম করে এবং দোয়া চেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সহপাঠিদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের উদ্যোশ্যে রওয়ানা হয়। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের লোকজনসহ আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।
ষড়পল্লী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু খালেদ বলেন, সুমি বেগম একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা কালকের (রোববার) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই দিন শোক কর্মসুচী পালন করা হবে।
আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ঈমানী বলেন, স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাত সাড়ে ৯টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।