বিশেষ প্রতিনিধি
শাল্লায় হবিবপুর ইউনিয়নের পুটকা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কাজল রানী দাসের দুনীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচানা কমিটির সভাপতি দিজেন্দ্র দাসসহ সাত সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ২২ অক্টোবর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট দাখিল করেছেন।
অভিযোগে লিখা হয়েছে দীর্ঘ দিন যাবত মাসে ৩ থেকে ৪ দিন বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যায় কাজল রানী। এরপরও তিনি কি করে বেতন নেন। শুধু তাই নয় সরকারি বরাদ্দ আত্মসাত, বিদ্যালয়ের মালামাল তার নিজ বাড়িতে রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ আছে অভিযোগে। ইতিপূর্বে
উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরীর নিকট মৌখিক অভিযোগ করা হলে কাজল রানী ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি দিজেন্দ্র দাসকে হুমকি দিয়ে বলেন, অভিযোগ যখন দিয়েছ এখন আর একদিনও বিদ্যালয়ে যাবনা, বেতন ও নিব। যা পারিস তাই করিস।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে বিদ্যালয়ের জন্য ইউনিয়ন কর্তৃক বরাদ্দকৃত ২টি কেরাম বোর্ডের মধ্যে একটি কাজল রানী তার বাসায় রেখেছেন। স্লীপের টাকাসহ বেশ টাকা কাজল রানী বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে অত্মসাত করেছেন।
এবিষয়ে সভাপতি দিজেন্দ্র দাসসহ গ্রামবাসী অনেকেই বলেছেন বিদ্যালয়ের অবস্থা নাজুক তাকে (কাজল রানী) বার বার বলার পরও কাজ হয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন বলে তারা জানান।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল বলেন আমি নিজেই সঠিক ভাবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচানার জন্য বহু বার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছি। শিক্ষিকা কাজল রানীর দাপটের সহিত তার ইচ্ছা মাফিক কাজ করছে।
এনিয়ে শিক্ষিকা কাজল রানী দাসের সাথে কথা হলে কেরাম বোর্ডেটি তিনি নিজ বাসায় রেখেছেন শিকার করে বলেন অভিযোগকারীগন সব সময় তার বিরোধিতা করছেন। অভিযোগের অনেক কিছুই সত্য নয় বলে জানান।
এব্যাপার শিক্ষা অফিসার দীন মোহাম্মদের সঙ্গে কথা হলে অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।