দিরাই প্রতিনিধি:
একটি গোল টেবিলে ৫ জন পরীক্ষার্থী ,আবার কোন টেবিলে ৪ জন পরীক্ষার্থী মিলে মিশে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখানে পরীক্ষার হল এর কোন পরিচয় নেই। গোল টেবিলে একত্রে বসার কারনে পরীক্ষার খাতা পাশাপাশি থাকায় পরীক্ষার্থীরা একে অপরের খাতা সহজেই দেখতে পারছেন। এমনকি পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্তদের চোখের সামেনেই অসদুপায় অবলম্বন করে অনেক পরীক্ষার্থীরা খাতায় লিখছেন। গতকাল রবিবার সরেজমিন সরমঙ্গল ইউনিয়নের আলোর দিশারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে কেন্দ্র সচিব আলোর দিশারী মাধ্যমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক বলছেন, বিগত চার বছর ধরে এমনিভাবেই তারা পরীক্ষা নিচ্ছেন এবং সকলেই এ ব্যাপারে অবগত রয়েছেন, এতে দোষের কিছু দেখছেন না, পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই চলছে বলে তিনি দাবী করছেন।’
সরকারের নির্দেশ অমান্য করে নিজেদের মত করে আসন বিন্যাস করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক শিক্ষক জানান, শুধু এই কেন্দ্রেই নয় উপজেলার সবকটি কেন্দ্রেই এমন অবস্থা এবং কোন কোন কেন্দ্রে একই বিদ্যলয়ের ৩/৪জন পরীক্ষার্থী একই ব্রেঞ্চে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
সরকারের নির্দেশ মত সবটি কেন্দ্রে সমাপনি পরীক্ষা শুরু হয়েছে জানিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হালিম বলেন, উপজেলার ব্রেঞ্চ সংকটের কারনে গোল টেবিলে এ কেন্দ্রে আসন বিন্যান করা হয়েছে, সোমবার থেকে ব্রেঞ্চ সংগ্রহ করে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক আসন বিন্যাসের ব্যবস্থা করা হবে।
জানাগেছে, এ বছর দিরাই উপজেলার সরকারি ১৬০ টি, আনন্দ স্কুল ৪০ টি, ব্রাক ১৫টি ও বেসরকারি ১৬টিসহ মোট ২৩৯টি বিদ্যালয়ের ১৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮১১ জন শিক্ষার্থী ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় ২৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা থাকলেও শুরুতেই সর্বমোট অনুপস্থিত রয়েছেন ৫৫৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ২৫৭ এবং মেয়ে ২৯৮ জন।
বিপুল সংখ্যক অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার আবদুল হালিম জানান, এত শিক্ষার্থী অনুপস্থিত বিষয়টি বুজতে পারছি না, তবে গরীব এলাকায় কাজ কামে অনত্র চলে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবী করছেন।