হাওর ডেস্ক::
স্ত্রীর সৈয়দা জেবুন্নেছা খাতুনের মৃত্যুর পর যখন তাকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে ঠিক সেই সময় না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুনামগঞ্জের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলজার আহমদ চৌধুরী। তাদের এই মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির তুখোর এই নেতা মুক্তিযুদ্ধেরও সংগঠক। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গুলজার আহমদ চৌধুরী। এর আগে, তার সহধর্মিনী সৈয়দা জেবুন্নেছা খাতুন রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যকালে সাবেক এমপি গুলজার দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
গুলজার আহমদ চৌধুরী গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে। ষাটের দশকের তুখোড় এই ছাত্রনেতা দিরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। শুরুর দিকে তিনি গণতন্ত্রী পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালে সুনামগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বার্ধক্যজনিত কারণে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান।
গুলজার আহমদ চৌধুরীর প্রথম জানাজা বুধবার সিলেট শহরের চৌকিদিঘি জামে মসজিদে এবং বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাজা হযরত শাহজালালের (র.) দরগাহ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে দরগাহ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মরহুমের ভাতিজা শামীম সকলকে জানাজায় অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। গুলজার আহমেদের মৃত্যুতে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল।