Share
এখন থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সব পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে আজ রবিবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এ তথ্য জানান।
একই ব্রিফিং-এ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম কবে নাগাদ কমবে তা বলা মুশকিল।
ব্রিফিং-এ সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে সহনীয় পর্যায়ে আসবে দাবি করে বলেন, আমরা বিমানে করে যে পেঁয়াজ নিয়ে আসি তার প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৫০ টাকা। কিন্তু টিসিবির মাধ্যমে আমরা ৪৫ টাকায় তা বিক্রি করি। ভারত থেকে এখন যদি আমরা পেঁয়াজ আনি তা প্রতি কেজি ১৫০ টাকা পড়বে। ভারত-মিয়ানমার সব জায়গায় পেঁয়াজের দাম বেশি।
এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাজারে সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। ব্যবসায়ীরা আমাদের বন্ধু মানুষ, তারা সহযোগিতা করছেন। ধরপাকড় করে লাভ নেই।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা কোন রকম বলতে পারবো না পেঁয়াজের এইটা কবে নাগাদ কমবে।
একমাত্র কমার পথ নিজস্ব উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে। ইতোমধ্যে নিজেদের উৎপাদিত কাঁচা পেঁয়াজটা আসতে শুরু করেছে। তাই ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে আরো কমবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নিজেদের পেঁয়াজ যদি না থাকে। আমাদের যদি ইমপোর্ট করতে হয়, তাহলে ইমপোর্টেরে যে প্রাইজ থাকবে সেটার উপর ভিত্তি করেই বাঁজারে দাম পড়বে।
সরকার বেশি দামে কিনে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে ৪৫ টাকা দরে খাওয়চ্ছি। এয়ারে (উড়োজাহাজে) যত মাল (পেঁয়াজ) আসছে সবগুলো ল্যান্ডিং কস্ট পড়ছে প্রায় ২৫০ টাকা। যেটা ওই ২৫০ টাকা দরে কিনেই কিন্তু ৪৫ টাকা দরে মানুষকে খাওয়াচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, এখন সারাদেশে প্রতিদিন ৩০০ টন করে ট্রাকে বিক্রি করা হবে। মিশর ও তুরস্ক থেকে আনা এ পেঁয়াজের দাম পড়বে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এর বাইরে টেকনাফ থেকে যে মাল আসছে মিয়ানমারে তাদের নিজেদের বাজারে দাম আছে ১৫০ টাকার উপরে।
দেশের বাজারে চাহিদা ও মজুদের হিসাব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কমানো যেতে পারে যদি টিসিবির মাধ্যমে বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা যায়। কিন্তু সারাদেশে সমস্ত পেঁয়াজ তো টিসিবির দেওযা সম্ভব না। প্রতিদিন চাহিদা সাড়ে ৬ হাজার টন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগাতে হবে। যেখানে আর একক দেশের উপর নির্ভরশীল না হয়ে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির চেস্টা করতে হবে। একইসঙ্গে দেশে উৎপাদন বাড়ানো এবং কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এরআগে সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ-এর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন, সেলিম আলতাফ জর্জ ও সুলতানা নাদিরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।