শাল্লা প্রতিনিধি::১৯৭১ সালের এইদিনে শাল্লা উপজেলায় মুক্তিবাহিনীর প্রবল আক্রমণে রাজাকার ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। তৎকালীন কমান্ডার সুকুমার চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ৭ জন পাক বাহিনীর সদস্যসহ রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর শতাধিক সদস্যকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে।
অনেক রাজাকারকে উপজেলার কলাকান্দি গ্রামের পাশে কবর দেয়া হয়। ঐতিহাসিক দিবসটি উপলক্ষে শনিবার ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকেসকাল ১০ টায় একটি র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সেখানে ১ মিনিট নিরবতা পালনও করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমান্ডার বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শাল্লা উপজেলা ইউনিটির আয়োজনে আলোচলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সভাপতিত্বে ও আজাদ মোহাম্মাদ আলেকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ অবনী মোহন দাস, মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র দাস, রাধাকান্ত দাস, বীরেন্দ্র কুমার দাস, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান, রথীন্দ্র চন্দ্র দাস, রিপন চন্দ্র দাস প্রমুখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ দিপু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অমিতা রাণী দাস, বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরী, হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার, আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অলিউল হক, শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম ও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।