হাওর ডেস্ক ::
সারা বিশ্বে গত ১৬ বছরে সবচেয়ে কম সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে শেষ হতে যাওয়া ২০১৯ সালে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স নামে একটি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে গোটা বিশ্বে কাজ করতে গিয়ে ৪৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তবে দেশে দেশে সাংবাদিকদের গ্রেফতার বা আটকের সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুণ।
২০১৯ সালে মেক্সিকো, সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি এ দেশগুলোতে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সব মিলিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ছিল ৮৭ জন। ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। তবে এর জন্য কয়েকটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থাটির বক্তব্য, গত এক বছরে তথাকথিত যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সাংবাদিকরা কাজ কম করেছেন। সিরিয়া বা মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে যারা গিয়েছেন তারাও অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন।
এছাড়া আফগানিস্তানের মতো দেশে, যেখানে কাজ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নিহত হওয়ার হার চোখে পড়ার মতো বেশি, সেখানেও ইদানীং সাংবাদিকরা অনেক বেশি সতর্ক হয়ে কাজ করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছর এক দেশ থেকে অন্য দেশে কাজ করতে গিয়ে কার্যত একজন সাংবাদিকেরও মৃত্যু হয়নি। গত এক দশকে যে সংখ্যাটা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার কমেনি। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে আটক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৮৯ জন। যার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে চীন। চলতি বছর চীনে এখনও পর্যন্ত আটক সাংবাদিকের সংখ্যা ১২০ জন।
সাংবাদিকরা কম নিহত হয়েছেন, এটা আশার কথা। তবু প্রশ্ন উঠছে, দেশে দেশে কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন সাংবাদিকরা। শুধু চীন নয়, তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও ইদানীং সাংবাদিকদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভারতেও গত কয়েক বছরে এ অভিযোগ বার বার উঠেছে। গোটা উপমহাদেশেই এ অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে। পিছিয়ে নেই যুকরাষ্ট্রও। সেখানেও বার বার সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ উঠছে।