হাওর ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগের বিষয়ভিত্তিক উপকমিটির সহ-সম্পাদকের পদ বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
নেতারা জানান, এখন থেকে আর সহ-সম্পাদক পদ থাকবে না। উপকমিটির শুধু সদস্য থাকবে। সবগুলো সম্পাদকীয় পদে একজন চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব ও পাঁচজন করে সদস্য থাকবে। তবে তা অবশ্যই দলীয় সভাপতির অনুমতি নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতার ভাষ্যমতে, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করলে তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তোমরা কি বিদায়ী ভাষণ রাখছ? তাহলে আজকেই বিদায় নিয়ে নাও।
নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের কোনো নেতাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ নই। এই দলের জন্য যারাই যা করেছে বিনিময়ও পেয়েছে। আমি সবাইকে দিয়েছি। এখন যার যার কর্মফল অনুযায়ী সে সে ফল পাবে।
সভায় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ৪১ এর স্থলে ৫১ সদস্যের করা হয়েছে। সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আলাদা পাঁচ মিনিট কথা বলেন দলীয় প্রধান। সভায় দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের কাজে বিশেষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
কার্যনির্বাহী সংসদের এই সভা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। ওইদিন কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই কমিটির মেয়াদকাল।
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগকে দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ড. মসিউর রহমান ও সাইদুর রহমান খানকে নিয়ে গঠিত হয়েছে নতুন এই কমিটি।
সভায় ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়করা প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সম্মেলনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন।