স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঈনুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধ ও কলেজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মঈনুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বাঁচাও কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জয়নগর বাজার শেডঘরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই কমিটি গঠিত হয়। এলাকার দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের সর্বসম্মতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমড়িয়া গ্রামের সন্তান মো. আতাউর রহমান। সদস্যসচিব মনোনীত হয়েছেন মোহনপুর গ্রামের সন্তান কাজী শামসুল হুদা সোহেল। সভায় এলাকার সচেতন মুরুব্বি ও যুবসমাজকে সদস্য করে কলেজের অব্যবস্থাপনা রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি রোধে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য দেন কাজী শামসুল হুদা সোহেল, হেমন্ত তালুকদার, দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের সম্পাদক সেলিম আহমদ তালুকদার, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক শামস শামীম, মুক্তিযোদ্ধা শমির উদ্দিন, দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আজিজুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আমিরুল হক, আবু তালিব আল মুরাদ, আজির উদ্দিন, মনিকাঞ্চন দাস, আকিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, কবির হোসেন, কলেজ ছাত্র রবিন আহমদ, কলেজ ছাত্র মিজানুর রহমান প্রমুখ।
দুই কলেজ ছাত্র অনিয়ন, দুর্নীতি, ও অবস্থাপনার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও উপাধ্যক্ষ তার স্ত্রী আফরোজা পারভিনের অপসারণসহ ৮ দফা দাবি পেশ করেন।
মঈনুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান বলেন, কলেজে কোন শৃঙ্খলা নেই। পারিবারিককরণ করা হয়েছে। ইচ্ছেমতো অসেচতন মানুষদের দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি করে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে কলেজ পরিচালনা করে অধ্যক্ষ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজকে ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ বৈঠক ডেকে কলেজ রক্ষায় এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আমরা এলাকার স্বার্থে কলেজ বাঁচাতে চাই। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সকলের সম্মতিতে কলেজকে এগিয়ে নিতে চাই।