হাওর ডেস্ক ::
প্রকৃতিতে বইছে পৌষালী বাতাস। সেই সঙ্গে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির ফলে উত্তরাঞ্চলসহ দেশজুড়ে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে আবারো তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও সেভাবে স্বাভাবিকের নীচে নামবে না।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার দিনগত মধ্য রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে রাঙামাটিতে, ৩৭ মিলিমিটার।
আর রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। রোববারও হালকা বৃষ্টি হবে। এরপর শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, রোববার যশোর, কুষ্টিয়া ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এরপর তাপমাত্রা কমবে। কয়েক দিনের গরম অনভূতিও কাটবে। সপ্তাহান্তে শীতও বাড়বে।
সারা দেশের রাতের তাপমাদ্রা ১-৩ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চলতি জানুয়ারি মাসে সারা দেশে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জানুয়ারির (সোমবার) পর একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস রয়েছে।
পূর্বাভাসে জানানো হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে ডিসেম্বরে দেশের উপর দিয়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এর মধ্যে গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে উত্তরের জনপদ।
এই উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ দেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ২৫-৩১ ডিসেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়া। ডিসেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা ১.৪ ডিগ্রি এবং ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে আরও একটি মৃদু (৮-১০) বা মাঝারি (৬-৮) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মাসের প্রথমার্ধে নদ-নদী অববাহিকা এবং অন্যত্র সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষ দিক থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন বজ্রঝড় হতে পারে।