স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ধামোধরতপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কোমলমতি হতদরিদ্র ছাত্র রিয়াদ আহমদের রক্তভমি হচ্ছে। মাত্র ৪-৫ লাখ টাকার জন্য তার চিকিৎসা বন্ধ আছে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু না হলে ডাক্তাররা রিয়াদকে বাঁচানো যাবেনা বলে জানিয়েছেন। তার দিন মজুর বাবা ও অসহায় মা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার ওয়ার্ডের ২২ নং বেডে ছেলেকে নিয়ে নিরবে চোখের জল ফেলছেন।
জানা গেছে বিভিন্নভাবে তার পরিবার সমাজের বিত্তবানদের কাছে তাদের ফুটফুটে সুন্দর ছেলেটির চিকিৎসা সহায়তার জন্য বারবার আবেদন জানালেও এখন পর্যন্ত কেউ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেননি। কেউ পাশে দাড়ানটি দরিদ্র এ ছেলেটির। ফলে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছেনা। রিয়াদ আহমদ ধামোধরতপি গ্রামের হতদরিদ্র আবুল কালামের ছেলে।
তার পরিবার ও ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার রক্তে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্ল্যাড ক্যানসার ধরা পড়েছে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা গেলে ডাক্তারা প্রায় শতভাগ আরোগ্যের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু নিঃসম্বল দরিদ্র পরিবারটি তার চিকিৎসা করাতে পারছেনা।
অসহায় মা ও বাবার চোখের জল দেখে বারবার অবুঝ রিয়াদ জানতে চাইছে তার কি হয়েছে। কেনই তার রক্তভমি হচ্ছে, মলত্যাগের সঙ্গেও তার মাঝে-মধ্যে রক্ত ঝরছে। অক্ষম বাবা মা কোন উত্তর দিতে পারেননা কোমলমতি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে। তারা শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে আদরের সন্তানের দিকে থাকিয়ে থাকেন।
জানা গেছে রিয়াদের পক্ষে তার স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ সমাজের বিভিন্ন বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহায়তা কামনা করেছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ সাইটেও এ বিষয়ে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সহৃদয়বান কেউ সহায়তার ডাকে সাড়া দেননি। তার অসহায় হতদরিদ্র পিতাও ছেলের চিকিৎসায় যতসামান্য যেটুকু সম্বল ছিল তার সবটুকুও প্রাথমিক চিকিৎসায় শেষ করে ফেলেছেন।
রিয়াদ আহমেদ বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ নং ওয়ার্ডে ডাক্তার প্রসেনজিৎ দে’র তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। তার হতদরিদ্র পিতা আবুল কালামের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় সংকুলান করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তমানদের সহায়তা কামনা করেছে তার পরিবার।
রিয়াদের চিকিৎসক ওসমানী হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. প্রসেনজিৎ দে জানান, টানা তিনমাস রিয়াদের চিকিৎসার প্রয়োজন। পরে তিন বছর তাকে ডাক্তারের তত্বাবধানে থাকতে হবে। টানা তিন মাস চিকিৎসা করাতে গেলে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকার ওষুধের প্রয়োজন। প্রতি সপ্তাহের রক্তও লাগে। তিনি জানান, রিয়াদের চিকিৎসার জন্য ৪-৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের সেই টাকা সংস্থান করা সম্ভব নয়।
আসুন, একজন কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাশে দাড়াই। সাধ্যমতো তাকে সহায়তা করে নিষ্পাপ সুন্দর জীবনে ফিরতে সহায়তা করি। রিয়াদকে সহায়তার পাঠাতে তার মায়ের এই নম্বরে ০১৭৫৪৮৮৯১২৩ যোগাযোগ করুন।
(ছবি: রিয়াদের রক্ত পরীক্ষার টেস্ট। ছবিটি ওসমানী হাসপাতালের বেডে শোয়া অবস্থায় নেওয়া।)