হাওর ডেস্ক::
ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িকতা ও উসকানিমূলক বক্তব্য বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি সংসদীয় আসনে মসজিদের মেরামত ও সংস্কার করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকা, মাদ্রাসা এবং মন্দিরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়া কমিটি ওয়াকফ সম্পত্তির ওয়াকফ আওলাদ ও ওয়াকফ লিল্লাহ’র পৃথক তালিকা আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করে।
জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী। বৈঠকে কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও রত্না আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও কল্যাণ ট্রাস্ট্রের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য স্থায়ী জমি বরাদ্দ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িকতা ও উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ওয়াজ মাহফিলে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। এ সময় কমিটির অন্য সদস্যরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তারা জানান, সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। পরে কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এবছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১,৩৭,১৯৮ জন হজ যাত্রী হজ করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন হজযাত্রী হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন মক্কা রুটের মাধ্যমে ঢাকায় সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।